পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Եր Ch শ্ৰীহীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮২, ১১ই মার্চ ভেসে চলে যায়, অনেক জীবজন্তুও চ’ড়ে যেতে পারে। হাবাতে কাঠের উপর চড়লে, কাঠও ডুবে যায়, যে চড়ে, সেও ডুবে যায়। তাই ঈশ্বর যুগে যুগে লোকশিক্ষার জন্ত নিজে গুরুরূপে অবতীর্ণ হন। সচিদানন্দই গুরু। “জ্ঞান কাকে বলে ; আর আমি কে ? “ঈশ্বরই কর্তা আর সব অকৰ্ত্তা’ এর নাম জ্ঞান। আমি অকৰ্ত্তা। তার হাতের যন্ত্র। তাই আমি বলি, ম, তুমি যন্ত্রী, আমি যন্ত্র ; তুমি ঘরণী, আমি ঘর ; আমি গাড়ী, তুমি ইঞ্জিনিয়ার ; যেমন চালাও, তেমনি চলি, যেমন করাও, তেমনি করি, যেমন বলাও তেমনি বলি ; নাহং নাহং তুহু তুহু।” 45° তৃতীয় পরিচ্ছেদ কমলকুটীরে গ্রীরামকৃষ্ণ ও গ্রীযুক্ত কেশব সেন গ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেনের বাটী হইয়া শ্ৰীযুত কেশব সেনের কমল কুটীর নামক বাটতে আসিয়াছেন। সঙ্গে রাম, মনমোহন, সুরেন্দ্র, মাষ্টার প্রভৃতি অনেকগুলি ভক্ত। সকলে দ্বিতল হলঘরে উপবেশন করিয়াছেন। শ্ৰীযুত প্রতাপ মজুমদার, শ্ৰীযুত ত্ৰৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্ম ভক্তগণও উপস্থিত আছেন। ঠাকুর প্রবুত কেশবকে বড় ভালবাসেন । যখন বেলঘরের বাগানে সশিষ্য তিনি সাধন-ভজন করিতেছিলেন, অর্থাৎ ১৮৭৫ খ্রীঃ মাঘোৎসবের পর কিছুদিনের মধ্যে ঠাকুর একদিন বাগানে গিয়া তাহার সহিত দেখা করিয়াছিলেন। সঙ্গে ভাগিনেয় হৃদয়রাম। বেলঘরের এই বাগানে তাহাকে বলেছিলেন, তোমারই ল্যাজ থসেছে, অর্থাৎ তুমি সব ত্যাগ ক’রে সংসারের বাহিরেও থাকিতে পার, আবার সংসারেও থাকতে পার ; যেমন বেঙাচির ল্যাজ থসলে জলেও থাকতে পারে, আবার ডাঙাতেও থাকতে পারে। পরে দক্ষিণেশ্বরে, কমল-কুটীরে, ব্রাহ্ম-সমাজ ইত্যাদি স্থানে অনেকবার ঠাকুর কথাচ্ছলে র্তাহাকে উপদেশ দিয়াছিলেন। ‘নানা পথ দিয়া, নানা ধৰ্ম্মের ভিতর দিয়া, ঈশ্বর লাভ হ’তে পারে ; মাঝে মাঝে নির্জনে সাধন ভজন