পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেশবের সহিত দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে २७> ( কেশবের শিষ্যদের প্রতি )—“ঐগো—তোমাদের গোবিন্দ এসেছেন। আমি এতক্ষণ খচমচ করছিলুম, জমবে কেন । ( সকলের হাস্ত )। “গোবিন্দের দর্শন সহজে পাওয়া যায় না। কৃষ্ণযাত্রায় দেখ নাই, নারদ ব্যাকুল হয়ে যখন ব্রজে বলেন—‘প্রাণ হে গোবিন্দ মম জীবন, তখন রাখাল সঙ্গে কৃষ্ণ আসেন। পশ্চাতে সখিগণ, গোপীগণ। ব্যাকুল না হলে ভগবানের দর্শন হয় না । ( কেশবের প্রতি )—“কেশব তুমি কিছু বল ; এরা সকলে তোমার কথা শুনতে চায় ।” কেশব ( বিনীত ভাবে, সহাস্তে )—এখানে কথা কওয়া কামারের নিকট ছুচ বিক্রী করতে আসা ! শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তো )—তবে কি জান, ভক্তের স্বভাব গাজাথোরের স্বভাব। তুমি একবার গাজার কলকেট নিয়ে টানলে, আমিও একবার টানলাম। ( সকলের হাস্ত্য )। বেলা ৪টা বাজিয়াছে। কালীবাড়ীর নহবতে বাজনা শুনা যাইতেছে। শ্রীরামকৃষ্ণ ( কেশব প্রভৃতির প্রতি )—দেখলে কেমন সুন্দর বাজনা, তবে কেবল একজন পো করছে, আর একজন নানা মুরের লহরী তুলে কত রাগ রাগিণীর আলাপ করছে । আমারও ঐ ভাব। আমার সাত ফোকর থাকতে শুধু কেন পে। করব—কেন শুধু সোহং সোহং করব। আমি সাত ফোকরে নানা রাগ রাগিণী বাজবি । শুধু ব্ৰহ্ম ব্রহ্ম কেন করব । শাস্ত, দাস্ত, বাৎসল্য, সখ্য, মধুর সবভাবে তাকে ডাকব—আনন্দ করব, বিলাস করব। কেশব অবাক হইয়া এই কথাগুলি শুনিতেছেন। আর বলিতেছেন জ্ঞান ও ভক্তির এরূপ আশ্চৰ্য্য, সুন্দর, ব্যাখ্যা কখনও শুনি নাই । কেশব ( শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি )—আপনি কতদিন এরূপ গোপনে থাকবেন —ক্রমে এখানে লোকারণ্য হবে । ত্রীরামকৃষ্ণ—ও তোমার কি কথা। আমি খাই দাই থাকি, তার নাম করি। লোক জড় করা করি আমি জানি না। কে জানে তোর গাইগুই,