পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুরেন্দ্রের বাগানে মহোৎসব। ףס\ל ঝগড়া হ’য়েছে । যার ঝগড়া ক’রেছে, তারা তো সব হ’রে প্যাল পঞ্চ t ( সকলের হাস্য )। ( ভক্তদের প্রতি ) । দেখ, প্রতাপ, অমৃত, এ সব শাক বাজে । আর ষ সব শুন তাদের কোন আওয়াজ নাই। (সকলের হান্ত )। . প্রতাপ- মহাশয়, বাজে যদি ব'ল্লেন তো আঁবের কশিও বাজে । সপ্তম পরিচ্ছেদ । [ রাহ্মসমাজ ও শ্রীরামকৃষ্ণ । ] མ་༨ শ্রীরামকৃষ্ণ ( প্রতাপের প্রতি ) । দেখে, তোমাদের ব্রাহ্মসমাজের লেকচার শুনলে লোকটার ভাব বেশ বোঝা যায় । এক হরিসভায় আমায় নিয়ে গিছলে । আচার্য হয়েছিলেন একজন পণ্ডিত, র্তার নাম সামাধ্যায়ী। বলে কি, ঈশ্বর নীরস, আমাদের প্রেম ভক্তি দিয়ে তাকে সরস ক’রে নিতে হবে। এই কথা শুনে আমি অবাকু ! তখন একটা গল্প মনে পড়লে । একটা ছেলে বলেছিল, আমার মামার বাড়ীতে অনেক ঘোড়া আছে –এক গোয়াল ঘোড় ! এখন গোয়াল যদি হয়, তা হ’লে কখন ঘোড়া থাকৃতে পারে ন, গরু থাকাই সম্ভব । এরূপ অসম্বদ্ধ কথা শুনলে লোকে কি ভাবে ? এই ভাবে যে, ঘোড়া টেণড়। কিছুই নাই । ( সকলের হাস্ত ) ৷ - একজন ভক্ত । ঘোড় তো নাইই ! গরুও নাই ( সকলের হাস্ত )। শ্রীরামকৃষ্ণ । দেখ দেখিন,যিনি রসন লে রূপ তাকে কিনা ব’লছে ‘নীরস । এতে এই বোঝা যায় যে, ঈশ্বর যে কি জিনিস, কখনও অনুভব করে নাই। প্রতাপের প্রতি উপদেশ । আমি’ ও ‘আমার” । ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( প্রতাপের প্রতি)। দেখ তোমায় বলি। তুমি লেখা পড়া জান, বুদ্ধিমান, গম্ভীরাত্মা কেশব আর তুমি ছিলে যেন গেীর নিতাই দু ভাই । এসব তো অনেক হ’লে, লেকচার দেওয়া, তর্ক ঝগড়, বাদ, বিসম্বাদ অনেক তো হ’লো । আর কি এ সব তোমার ভাল লাগে ? এখন সব মনটা কুড়িয়ে "ঈশ্বরের দিকে দাও । ঈশ্বরেতে এখন ঝাপ দাও । প্রতাপ । আজ্ঞা ই, তার সন্দেহ নাই, তাই করা কর্তব্য। তবে এ সব করা তার নামটা যাতে থাকে ?