পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিতির ব্রাহ্মসমাজ পুনৰ্ব্বার দর্শন । ১৬৭ কেলের জল না শুকুলে দা দিয়ে কেটে শপস আলাদা মালা আলাদা করা কঠিন হয়। জল যদি শুকিয়ে যায়, তা হ’লে নড় নড় করে ; শাস আলাদা হ’য়ে যায়। একে বলে থোড়ো নারিকেল। ঈশ্বর লাভ হ’লে লক্ষণ এই যে, সে ব্যক্তি খোড়ো নারিকেলের মত হয়ে যায়—দেহাত্মবুদ্ধি চলে যায়। দেহের সুখ দুঃখে তার স্থখ দুঃখ বোধ হয় না । সে ব্যক্তি দেহের মুখ চায় না । জীবন্মুক্ত হ’য়ে বেড়ায় । ‘কালীর ভক্ত জীবন্মুক্ত নিত্যানন্দময় । “যখন দেখবে, ঈশ্বরের নাম ক’রতেই অশ্রু আর পুলক হয়, তখন জানবে, কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি চ’লে গেছে, ঈশ্বর লাভ হ’য়েছে। দেশলাই যদি শুকনো হয়, একটা ঘসলেই দপ, ক’রে জলে উঠে। আর যদি ভিজে হয়, পঞ্চাশটা ঘসলেও কিছু হয় না। কেবল কাঠিগুলো ফেলা যায়। বিষয় রসে র’সে থাকলে, কামিনী-কাঞ্চন রসে মন ভিজে থাকলে, ঈশ্বরের উদ্দীপনা হয় না । হাজার চেষ্টা কর, কেবল পণ্ডশ্রম । বিষয়রস শুকুলে তৎক্ষণাৎ উদ্দীপন হয় ।” - [ উপায় ব্যাকুলত ;—আপনার মা । ] ত্ৰৈলোক্য । বিষয়রস শুকাবার এখন উপায় কি ? - শ্রীরামকৃষ্ণ । মার কাছে ব্যাকুল হ’য়ে ডাকে। র্তার দর্শন হ’লে বিষয়রস শুকিয়ে যাবে ; কামিনী-কাঞ্চনে আসক্তি সব দূরে চলে যাবে। আপনার মা বোধ থাকিলে এক্ষণই হয় । তিনি তো ধৰ্ম্ম-মা নন। তিনি আপনারই মা ! ব্যাকুল হ’য়ে মার কাছে আব্দার কর । ছেলে ঘুড়ি কিনবার জন্য মার অচল ধ’রে পয়সা চায়—ম হয় তো আর মেয়েদের সঙ্গে গল্প ক’রছে। প্রথমে মা কোন মতে দিতে চায় না। বলে, “না, তিনি বারণ ক'রে গেছেন, তিনি এলে ব’লে দিব, এক্ষণই ঘুড়ী নিয়ে একটা কাণ্ড করবি।’ যখন ছেলে কাদতে স্থরু করে, কোন মতে ছাড়ে না, তখন মা অন্য মেয়েদের বলে, ‘রোস মা, এ ছেলেটাকে একবার শাস্ত ক’রে আসি।” এই কথা ব’লে চাবিট। নিয়ে কড়াৎ কড়াৎ করে বাক্স খুলে একটা পয়সা ফেলে দেয়। তোমরাও মার কাছে আব্দার করে, তিনি অবশ্ব দেখা দিবেন। আমি শিখদের (Sikhs) ঐ কথা বলেছিলাম। তার দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ীতে এসেছিল ; মা-কালীর মন্দিরের সমুখে বসে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারা বলেছিল, ঈশ্বর দুয়াময়, আমি জিজ্ঞাসা ক’বুলুম, কিসে দয়াময় ? তারা ব’ল্লে, ‘কেন মহারাজ ! তিনি সৰ্ব্বদা আমাদের দেখছেন, আমাদের ধৰ্ম্ম, অর্থ সব দিচ্ছেন, আহার 曲 * స్త్రగి $