পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে। মন্মোহন, হৃদয়, মহিমাচরণ প্রভৃতি সঙ্গে। ১৮৩ ,یحمبصرحمخ ۶ ه শ্রীরামকৃষ্ণ । আজ এখন তবে আয়, আর এক দিন তখন ব’সে কথা কহিব । আজ রবিবার অনেক লোক এসেছে, তারা ব’সে রয়েছে –এবার দেশে ধান টান কেমন হ’য়েছে ? হৃদয়। ই, তা এক রকম মন্দ হয় নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ । আজ তবে আয় আবার এক দিন আসিস্ । হৃদয় আবার সাষ্টাঙ্গ হইয়া প্রণাম করিল । ঠাকুর সেই পথ দিয়া ফিরিয়া আসিতে লাগিলেন । সঙ্গে মাষ্টার । - শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারের প্রতি ) । আমার সেবা ও যত ক’রেছে, যন্ত্রণাও তেমনি দিয়েছে ! আমি যখন পেটের ব্যারামে দুখান৷ হাড় হ’য়ে গেছি—কিছু খেতে পারতুম ন তখন আমায় ব’লে, “এই দেখ, আমি কেমন খাই, তোমার মনের গুণে খেতে পারে না ।” আবার বলতে, “বোকা—আমি না থাকূলে তোমার সাধুগিরি বেমিয়ে যেতো!” এক দিন এ রকম ক’রে যন্ত্রণ দিলে যে পোস্তার উপর দাড়িয়ে জোয়ারের জলে দেহ ত্যাগ করতে গিয়েছিলুম ! মাষ্টার শুনিয়া অবাক হইয়া রহিলেন । বোধ হয় ভাবিতে লাগিলেন, কি আশ্চৰ্য্য ! এমন লোকের জন্য ইনি অশ্রুবারি বিসর্জন করিতেছিলেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারের প্রতি ) । আচ্ছা অত সেবা ক’রত,—তবে কেন ওর এমন হলো ? ছেলেকে যেমন মানুষ করে, সেই রকম করে আমাকে দেখেছে। আমি তো রাত দিন বেহুস হয়ে থাকৃতুম, তার উপর আবার অনেক দিন ধ’রে ব্যামোয় ভুগেছি । ও যে রকম ক’রে আমায় রাখতো, সেই রকম আমি থাকতুম।” মাষ্টার কি বলিবেন, চুপ করিয়া রহিলেন। হয়ত ভাবিতেছিলেন যে, হৃদয় বুঝি নিষ্কাম হইয়া ঠাকুরের সেবা করেন নাই । - কথা কহিতে কহিতে ঠাকুর নিজের ঘরে আসিয়া পহুছিলেন । ভক্তের প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। ঠাকুর আবার ছোট খাটুটীতে উপবিষ্ট হইলেন। তৃতীয় পরিচ্ছেদ। ভক্তসঙ্গে—নানাপ্রসঙ্গে । [ ভাব, মহাভাবের গৃঢ় তত্ব। ] i শ্ৰীযুক্ত মহিমাচরণ প্রভৃতি ভক্ত ছাড়া কয়েকটী কোন্নগরের ভক্ত আসিয়াছেন ; তাহাদের মধ্যে একজন ঠাকুর হীরামকৃষ্ণের সঙ্গে কিয়ৎকাল বিচার করেছিলেন ।