পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W. দক্ষিণেশ্বর । প্রথম দশন । ' ' 'o' > > SSAS SSAS SSAAAA AAAA AAAMAMAM AMMM MAAMMAMMMMAMMAMA AMM MMMAAA AAAAA প্রবেশ করিতে পাবিলেন না । দ্বারদেশে বৃন্দে ( ঝি ) দাড়াইয়াছিল। মাষ্টার জিজ্ঞাসা করিলেন, “হ্যাগ, সাধুটা কি এখন এর ভিতর আছেন ?” বৃন্দে । হা, এই ঘরের ভিতরে আছেন । মাষ্টার। ইনি এখানে কতদিন আছেন ? : বৃন্দে । তা অনেক দিন আছেন— মাষ্টার । আচ্ছা ইনি কি খুব বই টই পড়েন ? বৃন্দে । আর বাবা বই টই ! সবই ওঁর মুখে : - . মাষ্টার সবে পড়া শুনা ক’রে এসেছেন । ঠাকুর ঐরামকৃষ্ণ বই পড়েন না শুনে আরও অবাক্ হলেন । - মাষ্টার। আচ্ছ, ইনি বুঝি এখন সন্ধ্যা করবেন ?—আমরা কি এ ঘরের ভিতর যেতে পারি ?—তুমি একবার খবর দিবে ? : বৃন্দে। তোমরা যাও না বাবা ! গিয়ে ঘরে বোলো , তখন তাহারা ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখেন, ঘরে আর অন্য কেহ নাই । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ঘরে একাকী তক্তাপোষের উপর বসিয়া আছেন। ঘরে ধূন দেওয়া হইয়াছে ও সমস্ত দরজা বন্ধ । মাষ্টার প্রবেশ করিয়াই বদ্ধাঞ্জলি হইয়৷ প্রণাম করিলেন । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বসিতে অনুজ্ঞা করিলে তিনি ও সিধু মেজেতে বসিলেন । ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় থাকে, কি করে, বরাহনগরে কি করতে এসেছ,” ইত্যাদি। মাষ্টার সমস্ত পরিচয় দিলেন । কিন্তু দেখিতে লাগিলেন যে, ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন । পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব । যেমন কেহ ছিপ হাতে করিয়া মাছ ধরিতে । বসিয়াছে । মাছ আসিয়া টোপ খাইতে থাকিলে ফাতন যখন নড়ে, সে ব্যক্তি যেমন শশব্যস্ত হইয়। ছিপ হাতে করিয়া ফাতনার দিকে, একদৃষ্টে একমনে চাহিয়া থাকে, কাহারও সহিত কথা কয় না ; এ ঠিক সেইরূপ ভাব। পরে শুনিলেন ও দেখিলেন, ঠাকুরের সন্ধ্যার পর এইরূপ ভাবাস্তর হয়, কখন কখন তিনি একেবারে বাহশূন্ত হন। মাষ্টার। আপনি এখন সন্ধ্যা করবেন, তবে এখন আমরা আসি । শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভাবস্থ )। না—সন্ধ্য-ত এমন কিছু নয়। - আর কিছু কথা-বাৰ্ত্তার পর মাষ্টার প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন । ঠাকুর বলিলেন, “আবার এসো।” । * * মাষ্টার ফিরিবার সময় ভাবিতে লাগিলেন, “এ সৌম্য কে ?—যাহার কাছে: