পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.4 ، ... - 文津 ...? - করিস কি ভারীভুরী, ওঢ়াকাদি হরি চাঁদ, J o এ হেন বাক্য শুনিয়ে . গোময়ের গোলা পদে, . পদ চাটি কাদ। খালী, জগৎ জনার বাপ, মোর বাপ তোর বাপ, তারে বাপ বলিতে কি ভয় ॥ তোরা সব প্রতিবাসী, করিস কি হাসাহসি, নিত্যানন্দ দাসী হই আমি । নিতাই জগৎ গুরু, . প্রেম দাতা কল্পতরু, নিত্যানন্দ বাপ ভাই স্বামী । হেন ভাবে সৰ্ব্বক্ষণ, প্রেমাবিষ্ট ততুমন, নিত্য কৃত্য প্রাতঃস্বান আদি । অরুণ উদয় ক’লে, স্বান ক’রে কুহতুলে, নিত্য লেপে তুলসীর বেদী। একদা সকাল বেলা, লইয়া গোময় গোলা, ঝাটা শলা দক্ষিণ করেতে। লেপিছে বাহির বাড়ী, বাম করে গোলাহাড়ী, হরি হরি বলেন মুখেতে ॥ এ হেন সময় কালে, জয় হরি বুল বলে, গোসাই গোলোক উপনীত- --- দেখিলে সকল লোকে, পাগল বলে তাহাকে, ভক্ত ওঢ়ার্কান্দি ভাবাশ্রিত ॥ মলিন বসন ধারি, অঙ্গে কথা বলে হরি, প্ৰণমিল সুভদ্রার পায় । - গোসাই মনের সাধে, পদ রজ চাটিল জিহ্বায়। . কহিছে ক্ষুদ্র ধনী, আমি বড় ঠাকুরাণী, তুই বড় ভকতি জানিস্। মামিনে ও সাধুগিরি, কি বুঝিয়া আমাকে মানিস ॥ যিনি বৃন্দাবন চাদ, গৌর নিতাই চাঁদ যেন। তার দায় দিয়া ফের, ভা’বো হ’য়ে ভাবধর, মেয়েদের পদ চুটি কেন। কাথা খানি দিয়া গায়, - ভাব যে ঠাকুর হইলাম। খtও মেয়েদের এঠে, মেয়েদের পদ চেটে, অষ্ট অঙ্গে করুহ প্রণাম ॥ স্থায় দেখি মোর ঠাই, দেখি কেমন গোসাই, কত দূর ভাবেতে বিভোলা । এনেছি গোময়গুলি, থা দেখি এ গোময়ের গোলা ॥ গোসাই মৃদ্ধ হাসিয়ে দুই কর পাতিল অঞ্জলী। ठांनेि श्रु७ ।। হেটে বেড়ালে কি হয়, Se) গোসাই না কহে বাণী অমনি সুভদ্র ধ্বনী, হাড়ি ধরে গোলা দেয় ঢালী । - গোসাইর নাহি দুঃখ অমনি দিল চুমুক, সে অঞ্জলি থাইল তখন। - পুনশ্চ অঞ্জলী দিলে সে অঞ্জলীও খাইলে, এক বিন্দু না হ’ল প্ৰতন । পুনশ্চ কহে বৈষ্ণবী, কিরে বাছ আরো খাবি, অমনি গোসাই পাতে হাত । দিলেন হাড়ি ঢালিয়ে ; তৃতীয় অঞ্জলী খেয়ে, গোসাঁই করিল প্ৰণিপাত ॥ " সুভদ্রা কহিছে ম’তো, দেখি তোর ভক্তি কত, . হস্ত ধৌত না করিও ধন। গোসাই কহে কি করি, বুড়ী কহে শিরোপরি, হস্ত দ্বয় করুহ মার্জন ॥ - সুভদ্রা কহিল যাহা গোস্বামী করিল তাহা,- --- উত্তরাভিমুখে চলি যায়। সদা মুখে হরিনাম আসিল পদুমাগ্রাম, ফেলারাম বিশ্বাস আলয়। , ۔.A ، এদিকে সুভদ্রা গিয়ে হস্তপদ পাখলিয়ে, " করেতে লইল জপ মালা। মালা জপিতে জপিতে, কম্প উঠি অকস্মাতে, গৃহ মাঝে প্রবেশ করিল। " উঠিল পেটে বেদনা, তাহা না হয় সান্থন, সুভদ্রা কহিছে হায় হয়। . উদর বেদন জ্বালা, সেই গোময়ের গোল, ভেদ আর বমি সদা হয়। নিতাই চৈতন্য বলে, ভাসে দুনয়ন জলে, কিছুতে না হয় প্রতিকার। যুত বলে শ্রীচৈতন্য, বেদন বাড়ে দ্বৈগুণ্য, ভেদ বমি হয় বার বার । , মৃত্যুঞ্জয় এসে ঘরে, তাহা নিরীক্ষণ করে, বলে কিবা হইল মায়ের । গোময়ের গোলা যত, ভেদবমি অবিরত, বুঝিতে না পারি কৰ্ম্ম ফের। মৃত্যুঞ্জয়ের বনিতা, বলে কিবা কহিব তা, দুষ্কাৰ্য্য করেছে ঠাকুরাণী। যেমন করেছে কার্য্য, তাহা নাহি মনে গ্ৰাহ', কৰ্ম্মফল ফলেছে অমনি ॥ গোস্বামী গোলোক এসে, মা’বলে প্ৰণামি শেষে, ঠাকুরাণীর খায় পদধূলা।