পাতা:শ্রীশ্রী রাধামোহন প্রভুর চরিত্র - গিরীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । 文@ করিয়া যাত্রা করিলেন, এবং এক মাস পরে সেই দম্য পল্লীতে উপস্থিত হইলেন। দহ্যগণের আর পূর্বভাব নাই, এখন তাহারা পরম বৈষ্ণব, গলদেশে ত্রিকষ্টি তুলসীর মালা, ললাটাদি দেশে হরিচনামের তিলক, মুখে ঘন ঘন হরেকৃষ্ণ নাম” তাহারা সহসা আপন অভীষ্ট দেব প্রভুকে সমাগত দেখিয়া, মৃত দেহে যেন জীবন প্রাপ্ত হইল। প্রভুর পাদ মুলে দণ্ডবৎ পতিত হইয়া মস্তকে চরণ রেণু ধারণ করিল। এবং যথোচিত সমাদর পূর্বক প্রভুকে উৎকৃষ্ট স্থানে বাসস্থান প্রদান করিল ও সকলেই নিরস্তুর প্রভুর সেবা শুশ্রুষায় নিযুক্ত থাকিল। প্ৰভু তাহাদিগের সদ্ব্যবহারে সস্তুষ্ট হইয় পঞ্চদশ দিন তথায় অবিছেদে অবস্থান করিলেন । অনস্তর তাহাদিগের নিকট বিদায় লইয়া দুই শিষ্যের সহিত দ্বাদশ দিনে বনবিষ্ণুপুরে উপস্থিত হইলেন। ইতিপূৰ্ব্বে এদেশের সর্বত্র প্রভুর যশঃ, পাণ্ডিত্য, গীতি শক্তি ও কবিত্ব শক্তির কথা প্রচারিত হইয়াছিল, তজ্জন্ত তত্ৰত্য ঠাকুর মহাশয় দিগের ও বিষ্ণুপুরের রাজকুমারের প্রভুকে দর্শন করিবার ইচ্ছা বলবতী ছিল ; এক্ষণে অকস্মাৎ তাহাকে আসিতে দেখিয়া আহলাদে অধীর হইলেন ; রাজকুমার অলৌকিক রূপ লাবণ্য দর্শনে বিস্মিত ও বিমোহিত হইয়া সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিলেন।