পাতা:শ্রীশ্রী রাধামোহন প্রভুর চরিত্র - গিরীশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ পঞ্চম পরিচ্ছেদ । অতীত প্রায়, তজ্জন্ত তৎকালীন সন্ধা! বন্দনাদি সমাপন করিয়া নন্দ কুমারের প্রেরিত লোকদিগের তত্ত্বাবধান করিলেন । দেখিলেন তাহারা তখন আহারাদি করিয়া বিশ্রাম করিতেছে, অহার পর প্রভু তথা হইতে ফিরিয়া গিয়া একাকী বহিৰ্ব্বটাতে উপবেশন করিয়া রছিলেন। প্রভুকে লইয়া যাইবার জঙ্গ নন্দকুমার লোক পঠাইয়াছেন, তিনি কল্য প্রত্যুষে মুর্শদাবাদ স্বাত্রা করিবেন, এই কথা গ্রাম মধ্যে প্রচারিত হইলে গ্রামস্থ ভদ্র লোকগণ তাহার কারণ জিজ্ঞাস্থ হইয়া প্রভূর সমীপে আগমন করিলেন। প্ৰভু তোহাদিগের মনোগত ভাব শ্রবণ করিয়া নন্দকুমারের পত্রের সমুদয় মৰ্ম্ম তাহাদিগকে অবগত করাইলেন। শ্রবণ করিয়া সকলে অত্যন্ত কৌতূহলাক্রান্ত হইলেন এবং অনেকেই প্রভুর সঙ্গে স্থাইবার অভিলাষ প্রকাশ করিলেন। প্রভুও সন্তোষের সহিত র্তাহাদিগকে সঙ্গী করিক্তে স্বীকৃত হইয় বিদায় দিলেন এবং স্বয়ং আহারাদি সমাপন করিয়া এক নিভৃত গৃহে শয়ন করিয়া রহিলেন । নন্দকুমারের পত্র প্রাপ্তি অবধি রাধামোহন প্ৰভু মনে মনে তৎসম্বন্ধীয় বিধয় আন্দোলন করিতেছিলেন, সুতরাং সে রাত্রি তাহার মুম্বুপ্তি হইল না। প্রায় রাত্রি শেষের সময় কিঞ্চিৎ নিদ্রার আবির্ভাব হুইয়াছে, এমন সময়ে শ্ৰীনিবাস প্রভু উহাকে স্বপ্নচ্ছলে কহিলেন, “রাধামোহন । তুমি আমার