পাতা:শ্রীসনাতন গোস্বামী.djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায়—মনমোহনিয়া ঝর করিয়া বারিধারা ঝরিতে লাগিল । চৌবে-গৃহিণী বুঝিতে পারিলেন না, তাহার গোপাল মনমোহনিএার প্রসাদ গ্রহণ করিয়া গোসাই ঠাকুরের কেন ভাবান্তর উপস্থিত হইল ; এ প্রসাদ ত তাহর নিত্য ফেলিয়া দিয়া থাকেন । সনাতন প্রসাদ লইয়া চোরের ন্যায় ছুটিয়া পলাইলেন। পরদিন প্রভাতে সনাতন পুনরায় আসিয়া চৌবের গৃহে দর্শন দিলেন। তাহার বদন প্রফুল্ল, কিন্তু গম্ভীর ; একটা আনন্দোচ্ছাস তাহাকে মধ্যে মধ্যে কাপাইয়া তুলিতেছে। তিনি দ্বারে আসিয়া “মা” বলিয়া ডাকিতে না ডাকিতে দ্বার খুলিয়া গেল । সনাতন দেখিলেন, চৌবে-গৃহিণীর বদন বিষাদে আচ্ছন্ন ; পুত্ৰশোকাতুরারও বদন এত ক্লিষ্ট ও কাতর দেখা যায় না। সনাতন ডাকিলেন, “ম৷ ” গৃহিণী উত্তর না করিয়া শুধু কাদিতে লাগিলেন। সনাতন । কি হ’য়েছে মা ? চৌ-গৃ । তুমি কি আমার মোহনিঞাকে নিতে এসেছ ? সনা । হা, মা । মদনমোহনের আদেশে তাকে নিতে এসেছি। তিনি স্বপ্নে আমাকে বলেছেন, তুই আমাকে নিয়ে এসে ফুলতুলসী দিয়ে পূজা কর, আমি চৌবের ঘরে আর থাকৃব না । চৌ-গৃ। আমাকেও তাই বলেছে। নিয়ে যাও গোঁসাই, আমি ネbペ