পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৮ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত তৃতীয় ভাগ-তৃতীয় খণ্ড ভুজবলের গোস্বামী-বংশ এক্ষণে আমরা যে বংশের একটি শাখার উল্লেখ করিতেছি, তাহা একটি প্রসিদ্ধ সিদ্ধবংশ। এই বংশের বহুশিষ্য শ্রীহট্ট জিলার ভিন্ন ভিন্ন পরগণায় আছেন। এই বংশ বাণীবংশ বলিয়া খ্যাত। ঠাকুর বাণী সিদ্ধপুরুষ ছিলেন, তাহার জীবনচরিত আমরা ৪র্থ ভাগে বলিব; বাণীবংশের অন্যান্য সংবাদ পরবর্তী ৪র্থ খণ্ডে উক্ত হইবে, এ স্থলে বাণী বংশের একটি শাখার মাত্র উল্লেখ করা যাইতেছে। ঠাকুর বাণীর তিন পুত্রের মধ্যে শুকদেব মধ্যম ছিলেন, তিনি চেয়ালিশ পরগণার ভুজবলে গ্রামে বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করেন। তাহার কনিষ্ঠ পুত্র চৌতলীতে চলিয়া যান। ভক্তিতে সম্পদ প্রাপ্তি শুকদেবের দুইপুত্র, ইহাদের নাম রাম গোবিন্দ ও কৃষ্ণ গোবিন্দ। রাম গোবিন্দের অবস্থা অতি শোচনীয় ছিল, একদা তিনি গঙ্গাস্নানোদ্দেশ্যে মুর্শিদাবাদ গমন করেন। দূর হইতে গঙ্গাদর্শনে তাহার প্রাণ পুলকে নৃত্য করিতে লাগিল। সেদিন সপ্তমী তিথি ছিল, তিনি ত্রিলোক তারিণী ভাগীরথীর পবিত্র সলিলে পতিত হইয়া নিমীলিত-নেত্রে ভগবতী জাহ্নবীর ধ্যানে নিমগ্নচিত্ত হইলেন; তৎপ্রতি ভাগীরথীর করুণা হইর, তিনি তাহার কৃপাতেই তদীয় সাংসারিক দারিদ্র ক্লেশ ও দূরীভূত হয়; তিনি প্রচুর অর্থ প্রাপ্ত হন। তিনি তথা হইতে দেশে আসিলে জয়ন্তীয়াপতি দ্বিতীয় বড় গোসাই তাহাকে আহবান করিয়া রাজধানীতে লইয়া যান ও তাহার নিকট হইতে যোগাঙ্গ শিক্ষা করিয়া প্রচুর অর্থাদি দ্বারা গুরুদক্ষিণা করেন। গঙ্গাভক্তির পুণ্য-প্রভাবে অক্ষয় ফলপ্রাপ্তির কথা তো আছেই, তদ্ব্যতীত আনুষঙ্গিকরূপে দারিদ্র দুঃখ বিমোচন রূপ ঐহিক ফল তিনি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন; ইহাই তাহার ধারণা ছিল এবং ইহা তিনি আপ্তবর্গ সদনে ব্যক্ত করিতেন । ইহার দুই পুত্রের নাম জয়গোপাল ও রঘুগোপাল। রঘুগোপালের পুত্রের নাম ত্রিলোক চন্দ্র, ইহার পুত্ৰগণ বৰ্ত্তমান আছেন। কৃষ্ণগোবিন্দের পুত্ৰগণের মধ্যে পাগল শঙ্কর জ্যেষ্ঠ; সিদ্ধপুরুষ পাগল শঙ্করের নাম স্মরণে ইহার নাম রাখা হইয়াছিল। কৃষ্ণগোবিন্দের বংশধরবর্গই বৰ্ত্তমানে ভুজবল বাসী, এই শাখায় বৰ্ত্তমানে পঞ্চম পুরুষ চলিতেছে।৭ ৭. এই বংশের একটি বংশধারা এস্থলে প্রদত্ত হইলঃ কৃষ্ণগেদি গোস্বামী পাগলশঙ্কর রাধারণ নীচরণ হেরনেপাল ੋਗਸ਼ ਆਿਬ শরণগোবিন্দ প্রভৃতি ཝ་ལྡན་ཉིད་ཀ༑ ཨ་མinཀ་། ਾਂ ਬਰ বৈকুণ্ঠনাথ প্রভৃতি ཐཟis প্রভৃতি ਤਕਾਂ | প্রভৃতি রামচন্দ্র