পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিবাসী । ] ॐौदdèद्र हैङिइस । b> অমরকোৰ অভিধানে বৈশুদিগকে “সার্থবাহো” বলিয়া উল্লেখ দৃষ্ট হয়, সাহ শব্দ এই ‘সার্থবাহ’ শব্দ হইতেই নিম্পন্ন হইয়া থাকিবে । অধ্যাপক ঐযুক্ত পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদ মহাশয় বলেন যে, বণিকৃদিগকে সাধু বলিত, তৎপর সাহ এবং তাহার পর সাহা উপাধি দাড়াইয়াছে । সাহাদের আকৃতি এবং তাহাদের আচার ব্যবহার দেখিলে তাহাদিগকে কখনই নীচ শ্রেণীর লোক বলিয়া বোধ করা যায় না। “প্রচ্ছন্না বা প্রকাশুা বা বেদিতব্য স্বকৰ্ম্মভিঃ ;” মনুসংহিত্যেক্ত ইতি প্রমাণে তাহাদের কার্য্যাদি দর্শন করিলে, পূর্বকথিত সিদ্ধান্তে অবিশ্বাস করিবার হেতু পাওয়া যায় না। “সাহাকুল পরিচয়” নামক পুস্তকে লিখিত আছে যে, বৈহু জাতীয় খন্ধবণিকগণ বঙ্গভূমে আসিয়া বৌদ্ধভাবাপন্ন হওয়ায়, সমাজে অচল হয় ; আবার কেহ কেহ, বল্লালের কোপে সুবর্ণবণিকের ন্যায় দশাগ্রস্ত হওয়ার কথাও বলেন। উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ফরেক্কাবাদে এবং আসাম—কামরূপে সাহাদের জল অচল নহে । যাহা হউক, সাহ উপাধিটাই বৰ্ত্তমানে তাহাদের পক্ষে বিশেষ ক্ষতিজনক হইয়াছে বলিয়া বোধ হয় ; কারণ প্রকৃত শুড়ীরাও সাহা উপাধি ধারণ করায়, এবং তন্মধ্যে যাহারা মদ্য প্রস্তুত ইত্যাদি ব্যবসায় ত্যাগ করিয়াছে, বৈগু সাহ জাতি হইতে তাহাদের পার্থক্য নির্ণয় করা অনেক সময় কঠিন হইয় পড়ে। এই এক উপাধির অন্তভুক্ত হওয়ায় সাধারণতঃ ইহারা অনেকাংশে অবজ্ঞাত হইয়াছে। শ্ৰীহট্টে সাহাশ্রেণীর বহুতর লোক আছেন। সাধারণ সম্মানে কায়ন্থের পরেই তাহাদের স্থান নির্দেশ করা যাইতে পারে, ইহা ( মিঃ ওয়ালটন প্রভৃতি) বহুতর রাজপুরুষ উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু উত্তর শ্ৰীহট্ট, করিমগঞ্জ, ও দক্ষিণ শ্ৰীহট্ট (পূৰ্ব্বাংশ) বালী সাহুগণ, সিদ্ধান্তসমুদ্র, কুলপ্রতিভা, সাহাকুল পরিচয় প্রভৃতি মুদ্রিত পুস্তকগুলির প্রতিপাদিত ঠিক বৈপ্তবর্ণ ছিল না, ইহার উক্ত বৈশ্ব সাহা-বণিকগণ হইতেও বিভিন্ন ছিল । রাজা স্থবিদ নারায়ণের সময়, পূৰ্ব্বোক্ত বৈশ্ব-সাহার সংস্রবে, বৈষ্ক ও কায়স্থ সমাজ হইতে ইহারা পৃথক হইয় পড়ে এবং কালক্রমে আপনাদিগকে বৈশু সাহ জানে তদনুরূপই চলিয়া আসিতেছে। 'কুলাঞ্জলী" নামে হস্তলিখিত ??