পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bề ভৌগোলিক दूसंॉखं । ] ژه آلاt: ۹:{a}: -ه করে। কিন্তু পূৰ্ব্বে এইরূপ পরিচয় দিত না। মণিপুররাজ চিংতোমূখোম্বার শাসনকালে শ্রীহট্টের ব্রাহ্মণ অধিকারীগণ তাহাদিগকে বৈষ্ণবধৰ্ম্মে দীক্ষিত করতঃ উপবীত প্রদান করেন।* বিষ্ণুপুরীয় ও কালাচাই ভেদে ইহার দ্বিবিধ। বিষ্ণুপুরীয়ারা কৃষ্ণবর্ণ এবং পাৰ্ব্বত্য জাতীয় বলিয়া সহজেই বোধ হয়। মণিপুরীর পূৰ্ব্বে যে পাৰ্ব্বত্য জাতীয় ছিল, তাহার বহুতর প্রমাণ আছে, কিন্তু শ্ৰীহট্ট অঞ্চলের মণিপুরীর বহুদিন বাঙ্গালী সংস্রবে থাকায়, অনেক পরিমাণে বাঙ্গালী স্বভাব প্রাপ্ত হইয়াছে। মণিপুরীরা বলবান, সাহসী ও বীর। ইহাদের একতা অতি প্রশংসনীয়। (কন্তু ইহাদের স্বভাব উদ্ধত এবং তত্ত্বারা আইনের ধার বড় অধিক ধারে না। শ্ৰীহট্ট সদর, প্রতাপগড়স্থ পাথারকান্দি, জফরগড়ের লক্ষ্মীপুর, ডলু, শিংলা, লংলা, ধামাই, গৌর নগর, পাথারিয়া, তরফ, আসামপাড়া ও সুনামগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে ইহাদের বাস আছে। ব্রহ্মযুদ্ধের পরই মণিপুরীরা শ্ৰীহট্ট ও কাছাড়ে আগমন করতঃ উপনিবেশ স্থাপন করে। মণিপুরীদের পৃথক এক কথ্য ভাষা আছে। ইহাদের সংখ্যা ১৬০৪৩ জন ; (তন্মধ্যে পুং ৮০৮৫ এবং স্ত্রী ৭৯৫৮ জন । ) লালুং —ইহার খাসিয়া ও জয়ন্তীয় পাহাড় হইতে শ্ৰীহট্টের সমতল ক্ষেত্রে আসিয়া বসতি করিতেছে । কথিত আছে যে, প্রাচীনকালে ইহারা ডিমাপুরের (কাছাড়ের) নিকট বাস করিত, তথাকার রাজা মানবদুগ্ধ পান করিতেন এবং ইহাদিগকে প্রত্যহ ছয়সের দুগ্ধ যুগাইতে আদেশ করেন। ইহার রোজ ছয়সের নারীদুগ্ধ যুগান অসাধ্য ভাবিয়া, ভয়ে পলায়ন পূর্বক জয়ন্তীয়ায় আসিয়া বাস করে। ইহারা বিবাহন্তে স্ত্রীর পিতৃবংশভুক্ত হয়, কিন্তু স্ত্রীর মরণাস্তে আবার নিজবংশত্ব পুনঃ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। শ্ৰীহট্ট জিলায় ইহাদের সংখ্যা ৬৩৯ জন ; (তন্মধ্যে পুং ৩১৫ এবং স্ত্রী ৩২৪ জন) ।

  • বঙ্গদর্শন পত্রিকা—১২৮৪ সাল । এবং শ্ৰীযুক্ত কৈলাসচন্দ্র সিংহ প্রণীত ত্রিপুরার ইতিহাস দেখ ।

t “The Manipuris are by nature a turbulent and unruly people, and have little respect for the majesty of the low.” etc. . The Assam District Gazetteers vol. II (Sylhet) chap. III p. 78,