পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থস্থান । ] डीश्रीब्र इउिंइख । 9אכ כי হইয়া পড়িল । তখন সকলেই খনন হইতে নিবৃত্ত হইলেন। এই শিবই আমাদের নিকট সৰ্ব্বানন্দ ভৈরব রূপে প্রতীয়মান হইতেছেন। এই আবিষ্কারের বিষয় পণ্ডিত মহাশয় শ্ৰীহট্টবাসী কোনও সন্ত্রাস্ত আস্থাবান ব্যক্তির নিকট বলিয়াছিলেন। তন্মধ্যে কেহ কেহ, বিশেষতঃ স্বধৰ্ম্মনিরত শ্ৰীযুক্ত তারকিশোর চৌধুরী মহাশয় (হাইকোর্টের উকীল ) এবং স্বৰ্গীয় রায় প্রিয়নাথ বন্দোপাধ্যায় বাহাদুর ( শ্রীহট্টের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ) শিবটল গমনপূৰ্ব্বক মহাদেবের দর্শন এবং পূজাদিও করিয়াছিলেন।” এইরূপে সৰ্ব্বানন্দ তৈরব প্রকাশ হন।* এই ঘটনার পরে শিবসম্বন্ধে একটি ঘটনা সংঘটিত হয়, তাহা এতদিন প্রকাশ পায় নাই, সম্প্রতি ( ১৯০৩ খৃষ্টাব্দের ২০শে আগষ্ট তারিখের ) পরিদর্শকে প্রকাশিত হইয়াছে। প্রাগুপ্ত ৮কৈলাশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য লিখিয়াছিলেন,—“যে দিন মাটী কাটিয়া শিব বাহির করিয়াছিলাম, সেই দিনের কথা এখনও পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে মনে অঙ্কিত আছে। উপস্থিত জনগণ সকলেই দেখিয়াছেন, প্রায় দেড় হাত মাটর নীচে গৌরীপীটের সমস্থলে একখানা প্রদীপের মুছি এবং তিন চারিখানা মৃন্ময়পাত্র পাইয়াছিলাম, ইহা কি পূৰ্ব্বপুজার প্রমাণ স্বরূপ গৃহীত হইতে পারে না ? এই শিব সম্বন্ধে একটি অলৌকিক ঘটনা আমার সমক্ষে হইয়াছিল, তাহ এযাবৎ কাহারও নিকটে ব্যক্ত করি নাই, কারণ ‘অসম্ভাব্যং ন ব্যক্তব্যং প্রত্যক্ষমপি দৃশুতে।” “শিব আবিষ্কারের কয়েক মাস পরে একদা আমার সহযোগী ও সতীর্থ কৃষ্ণকুমার বলে যে, ‘চল ভাই, আমরা শিবের নিম্নভাগ খনন করিয়া দেখি । আমি তাহার কথায় অকুমোদন করিলাম এবং উভয়ে শিবের নিকট উপস্থিত হইলাম। প্রথমতঃ কৃষ্ণকুমার খনন করিতে আরম্ভ করে, কিন্তু কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারে নাই। কারণ যে দিকে খনন করিতে চায় সেই দিকেই প্রস্তর ভিন্ন আর কিছুই উপলব্ধি হয় নাই। তখন আমার মনে পূজার প্রমান ও মাহাত্ম্য |

  • “Sarbananda about a mile and a half south of Sylhet town.”

Assam District Gazetteers vol II ( Sylhet) Chap III p 87.” >(。