পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२ 8 ভৌগোলিক বৃত্তান্ত। [ ১ম ভাঃ ১০ম জঃ — হয়। বড়ই দুঃখের বিষয় যে, বিগত ১৩০৮ বঙ্গাব্দের বাসস্তীয় অষ্টমী যোগে হঠাৎ এই শিবের অন্তৰ্দ্ধান ঘটিয়াছিল, অনেক চেষ্টায়ও না পাওয়ায় পূৰ্ব্ব শিবের অনুকরণে কাশীধাম হইতে এক নূতন শিব আনয়ন করতঃ স্থাপন করা হইয়াছিল। পরে পূর্ব শিব প্রাপ্ত হওয়া যায় এবং তিনিই এখন স্বস্থানে প্রতিষ্ঠিত আছেন। স্থান-মাহাত্ম্যও পূৰ্ব্ববৎ আছে ; এখনও বহুলোক তথায় গিয়া কৃতাৰ্থ হয়। এই শিবের সেবায়েত মধ্যে ধৰ্ম্মবলে কেহ কেহ অতি খ্যাতাপন্ন হইয়াছিলেন, পশ্চাৎ তাহাদের বিবরণ বর্ণিত হইবে। হৰ্ম্মাইর বিশেষ কোন কীৰ্ত্তিকথা জ্ঞাত হওয়া যায় না। কেবল শিবের বাড়ী হইতে কয়েক মাইল দূরে “হম্মাইর দীর্ঘী” নামক জঙ্গলাবৃত একটি দীঘী তাহার নামের ক্ষীণ পরিচয় দিতেছে। (উনকোটি তীর্থ । ) উনকোটি তীর্থ শ্ৰীহট্ট সীমার সন্নিকটবর্তী ও পাৰ্ব্বত্য ত্রিপুরার প্রাস্তবৰ্ত্তী । এই তীর্থও শ্ৰীহট্টবাসীর তীর্থ বলিয়াই গণ্য। ইহা স্বাধীন রাজ্যের অন্তর্গত এবং কৈলাসহর হইতে তিন ক্রোশ পূৰ্ব্বে অবস্থিত। আসাম-বেঙ্গল রেইলওয়ের টালাগাও ষ্টেশন হইতে পদব্রজে কয়েক মাইল অতিক্রম করিলেই এ স্থানে যাওয়া যায়। উনকোটি তীর্থে কোনরূপ পূজার প্রথা নাই। কারণ দেবতাগণও পূর্ণাঙ্গ মহে। উনকোটিতে অগণিত দেবমূৰ্ত্তি ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্তভাবে পড়িয়া রহিয়াছে। কত যে মূৰ্ত্তি, কে গণনা করিবে ? এক সময় ইহা পূৰ্ব্ববঙ্গে যে এক প্রধান তীর্থ ছিল, তাহা দেবমূৰ্ত্তির সংখ্যানুপাতে বলা যাইতে পারে। এক স্থানে এত অধিক দেবমূৰ্ত্তি বড় অধিক দৃষ্ট হয় মা । খ্ৰীযুক্ত চলোদয় বিস্তাবিনোদ কৃত “কৈলাসহর ভ্রমণ” পুস্তিকায় বিরল প্রচারিত উমকোটি মাহাত্ম্য নামক গ্রন্থ হইতে তিনটি শ্লোক উদ্ধত হইয়াছে, being delivered from disease.” Assam District Gazetteers vol II. Chap III p. 86. Vide Hunter's Statistical Accounts of Assam vol. II p. 25.