পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তীর্থস্থান । ] শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । 6סמ: (মাধবতীর্থ ও শিবলিঙ্গ তীর্থ। ) পূৰ্ব্বে মাধব প্রপাতের উল্লেখ করা গিয়াছে। এই প্রপাত একটি ক্ষুদ্র তীর্থ রূপে গণ্য হইয়াছে ; মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী যোগে এখানে ৮৯ সহস্ৰ লোক স্নান তৰ্পণ কয়িয়া থাকে। মাধব পাথারিয়া পরগণার অন্তর্গত, বড়লিখা ষ্টেশন হইতে তিন মাইলের অধিক দুরবর্তী নহে। আদাম আইল পাহাড়ের মাধবছড়া পশ্চিমমুখে প্রবাহিত হইয়া, হঠাৎ 譬 উচ্চ পাহাড় হইতে নীচে পড়িয়া যাওয়ায় নীচে এক বৃহৎ কুণ্ডের উৎপত্তি হইয়াছে। যদি কেহ মাধবছড়ার স্রোতাভিমুখে পুৰ্ব্বাঞ্চল হইতে গমন করে, তবে ছড়ার বক্ষে মধ্যে মধ্যে বৃহৎকায় প্রস্তরখণ্ড সমূহ দেখিতে পাইবে । মাধবকুণ্ড হইতে প্রায় এক মাইল উপরে এইরূপ এক সুবৃহৎ পাষাণ খণ্ড আছে। বৃহৎ পাষাণটি ছড়ার সমস্ত প্রস্থ ব্যাপ্ত করিয়া রহিয়াছে। জল এক পাশ্ব দিয়া ভয়ে ভয়েই যেন বাকিয়া চলিয়া যাইতেছে ও একেবারে সজোরে সেই প্রস্তরের সম্মুখে আসিয়া এক কুণ্ড প্রস্তুত করিয়াছে, ইহার পরিসর বৃহৎ না হইলেও অতি গভীর,— সুচিক্কণ নীলসলিলে টলমল করিতেছে। এইরূপ ছয়টি শিলা ও তন্নিয়ে ছয়টি কুণ্ড সেই স্রোত বক্ষে দৃষ্ট হয়। বলা আবশ্বক যে এই ছয়টি কুণ্ডই পাহাড়ের উপরে। এই ছড়ায় হাটুজলের অনেক কম জল থাকে, এবং দ্বদিকে উচ্চ পাহাড় থাকায় স্বৰ্য্যরশ্মি দৃষ্ট হয় না। এইরূপ কিছুদূর অগ্রসর হইয়া ছড়ার একটি “বক্র” (পাক ) ঘুরিলেই ষষ্ঠ কুণ্ড প্রাপ্ত হওয়া যায়। সেখান হইতে স্বৰ্য্য রশ্মি স্পষ্টরূপে দৃষ্ট হয়। এই স্থানে আসিলে একটি হু হু শব্দ শ্রত হওয়া যায়, মধুচক্রে আঘাত দিলে উডীয়মান মক্ষিকার ঝাক হইতে যেরূপ শব্দ হয়, ঐরূপ শব্দ শুনা যায়। তৎসম্মুখেই অভীষ্ট সপ্তম কুণ্ড, তথায়ই যাত্রীগণ স্নানাদি করিয়া থাকে । 瞬 সেই পুৰ্ব্বোক্ত স্রোতটি (ছড়া ) শৈল গাত্রে প্রস্তরের উপর দিয়া চলিয়া দ্বিভাগে বিভক্ত হইয়া, হঠাৎ উচ্চ পৰ্ব্বত হইতে একবারে নিয়ে পড়িয়া গিয়াছে। পাহাড়ের গা-বাহিয়া পড়ে নাই। ছড়ার বিবরণ। প্রপাতের উৎপত্তি ।