এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
২য় অধ্যায় ] দরবেশ শাহজালাল । ૨ છે سيصبح يمنحك এক দুৰ্দ্দান্ত ব্যাঘ্র তাহকে আক্রমন করিয়াছিল। শাহজলাল তদৃষ্টে শরণাপন্ন ও আতঙ্কিত হরিণকে আশ্রয় দিলেন এবং চপটাঘাত পূর্বক ব্যাঘ্রকে বিতাড়িত করিলেন। ইতিহাস প্রসিদ্ধ সেরশাহের ন্যায় শারীরিক বলে হউক, কি দৈব শক্তিতে হউক, তিনি ব্যাঘ্রকে তাড়াইয়া শরণাগতের প্রাণ রক্ষা করিলেন ।
- [ সিদ্ধিলাভ ]—এই কার্য্যে গুরু তাহার প্রিয় শিষ্যের সিদ্ধির পরিমাণ বুঝিতে পারিলেন। তিনি সন্তোষ প্রকাশ পূৰ্ব্বক শাহজলালকে বলিলেন ‘বংস, তোমার আদ্যকার কার্যক্ষমতা দেখিয়া বিশ্বাস হইল যে, তোমার ও আমার অধ্যাত্মিক অবস্থা একই প্রকার হইয়াগিয়াছে । আর ঐ স্থানে তোমার প্রয়োজন নাই, হিন্দুস্থানের দিকে প্রস্থান কর। তংপর স্বীয় সাধনার স্থান হইতে এক মুষ্টি মৃত্তিকা আনিয়া শাহজালালের হস্তে দিয়া বলিলেন, “তোমার হাতে যে মৃত্তিক দিলাম, তাহ অতি যত্বে রাখিবে,— যেন ইহার বর্ণ গন্ধ বা স্বাদ বিকৃত না হয়। ঈদৃশ মৃত্তিক যে স্থানে পাইবে, সেইখানেই সতত অবস্থান করিবে । এই মৃত্তিক মুষ্টি যে স্থানে পরিত্যাগ করিবে, সেই স্থানের মাহাত্ম্যের আর তুলনা থাকিবে না।” *
- [ চাষনি পীর }—শাহজলাল পাথেয় স্বরূপ গুরুর নিকট হইতে এই মৃত্তিক-প্রসাদ লইয়া ভারতবর্ষ অভিমুখে যাত্রা করিলেন। সঙ্গে প্রথমতঃ বারজন চেলা জুটিলেন, তন্মধ্যে একজন সেই মৃত্তিকার তহবিলদার হইলেন । র্তাহার উপর এই ভার থাকিল যে তিনি পথিমধ্যে যত জনপদ দেখিতে পাইবেন, সমস্তেরই মৃত্তিক পরীক্ষা করিয়া (চাথিয় ) দেখিবেন ; যদি কুত্ৰাপি বর্ণ গন্ধ ও স্বাদে এই মাটির সমকক্ষ মাটি মিলে, তবে তাহাকে তৎক্ষণাৎ তাহী শাহজলালের নিকট জানাইতে হইবে । এই ব্যক্তির নাম চাষনি পীর।”
- [ জন্মস্থান সন্দর্শন ]—পরিব্রাজক ব্ৰতে দীক্ষিত হইয়া প্রথমতঃই শাহজ
- “শাহজলালের জীবনী (সুহল-ই-এমন ) লেখক নসির উদ্দীন হায়দর ঢাকা নিবাসী ছিলেন। পরিশেষে শ্রীহট্টের এই মাহীয়ে বিশ্বাস করিয়া এই সহরেই অবস্থান করেন ।”
( প্রদীপ । )