পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় অধ্যায় ] দরবেশ শাহজলাল । २७ অসাধ্য হইয়া উঠিল ; রাজ্যধন প্রভৃতি কিছুতেই তাহার আসক্তি রহিল ন, নিজের স্বৰ্থস্বচ্ছন্দতার প্রতিও তিনি দৃষ্টি করিলেন না। সাধু শাহজলালের পবিত্র সঙ্গস্বৰ্গ তাঁহার প্রবল বাসনার বিষয়ীভূত হইল। তিনি অমাত্য স্বজন সমস্তের চক্ষু এড়াইয়া শাহজলালের অন্বেষণে উন্মত্তের ন্যায় ধাৰমান হইলেন এবং চতুর্দশ দিবসের পথ অতিক্রম করিয়া তাহার পার্শ্ববর্তী হইলেন। প্রবল অনুরাগের নিদর্শন পাইয়া শাহজলাল রাজকুমারকে আপনার সহচর ভাবে গ্রহণ করিলেন ।” தி শাহজলাল দ্বাদশ জন সহচর সহ যাত্রা করিয়াছিলেন ; পথে আসিতে আসিতে,—তদীয় প্রভাব শ্রবণে ও ভগবদ্ভক্তি দর্শনে আকৃষ্ট হইয়া বহুলোক শিষ্যত্ব গ্রহণ করায়, অহচর সংখ্যা বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল। বোগদাদ নগর নিবাসী নেজামউদ্দীন ; আরবের জকরিয়া ও দাউদ প্রভৃতি বহুতর ব্যক্তি সেই দেশেই তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়া সঙ্গী হন । তৎপর গজনী নগর হইতে মোকদুম জাফর ও সৈয়দ মোহাম্মদ প্রভৃতি এবং মুলতান সহর হইতে আরেফ ও আজমীর হইতে সরিফ প্রভৃতি তাহার অমুসঙ্গী হইলেন। “া ভারত বর্ষে আগমন ]—শাহজলাল দলবল সহ দিল্লী নগরীতে আসিলেন । সেইখানে তখন নেজাম উদ্দীন নামক একজন অতি প্রসিদ্ধ পীর থাকিতেন ।* তাহার নিকট তদীয় এক শিষ্য আসিয়া শাহজলালের বিষয় কহিল, ‘আরব হইতে এক দরবেশ আসিয়াছেন, তাহার চরিত্র অতি অদ্ভূত। এই সাধু স্ত্রী সঙ্গ বর্জিত। তিনি চাদর দিয়া মুখ ঢাকিয়া পথ চলেন । আবাস গৃহে তিনি একটি বালককে নিজের সাক্ষাতে রাখেন এবং তাহকে প্রাণাধিক প্রেমাস্পদের দ্যায় দেখিয়া থাকেন । এতদ্ভিন্ন তাহার আর কোনও কৰ্ম্ম দেখা যায় না ।” “া নেজামউদ্দীন ও শাহজলাল ]–পীর নেজাম উদ্দীনের মনে একটু থটুকা বঁধিল । তিনি শাহজলালকে তাহার নিকটে আসিতে আহবান করিয়া

  • নেজাম উদ্দীন আউলিয়ার সময় লইয়াও গোলযোগ দৃষ্ট হয় ; তত্তাৰতের

উল্লেখ করা অনাবশ্বক ; মোট কথা—তৎসহ শাহজলালের দেখা হইয়াছিল। X 3 so