পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రిపి শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २खः २ न ॰ः প্রাকৃতিক একটা উৎস, ইহা হইতে সৰ্ব্বদাই জল প্রবাহিত হইতেছে। শাহজলাল হিন্দুর পুষ্করিণীতে হস্তমুখ প্রক্ষালণ করিতেন না। হজরত কখনও স্ত্রীলোক দর্শন করেন নাই। তদীয় উপাসনাগৃহের উত্তর পাশ্বে এক পুষ্করিণী ছিল, একদা হঠাৎ ঐ পুষ্করিণীঘাটে এক রমণীমূৰ্ত্তি দেখিতে পাইলেন ; আর কখনও রমণীর কমণীয় কাস্তি র্তাহার নেত্রপথে পতিত হয় নাই, যখন তিনি উহা স্ত্রীমূৰ্ত্তি বলিয়া বুঝিলেন, তখন বড় বিমর্ষ হইলেন ও ঐ পুকুরের অস্তিত্ব ৰিলোপ হইতে ইচ্ছা করিলেন। তাহার ইচ্ছা তখনই কার্য্যে পরিণত হইয়াছিল। ঐ স্থানটি নিম্নভূমি প্রায় পরিলক্ষিত হয়। অতঃপর অনতিবিলম্বে সেই স্ত্রীলোকটি মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তখন র্তাহার বস্ত্রাদি যে স্থানে প্রোথিত করা হয়, শ্রীহট্টে তাহ৷ ‘বিবির মোকাম’ নামে খ্যাত হইয়া রহিয়াছে। চিরকুমার শাহজলাল ও রমণীবিষয়ক আর একটা কাহিনী আছে, শ্ৰীযুক্ত পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদ কৃত প্রদীপের স্থলিখিত প্রবন্ধ হইতেই তাহ উদ্ধৃত করিতেছি । o

  • [ সিকান্দরের ভ্রম ]—গ্রীষ্ম প্রধান স্থান হইতে আসা হেতু শাহজলালের সহচরবর্গ শিশিরাগমে শ্ৰীহট্টে শীতে নিতান্ত অভিভূত হইয়া পড়িলেন। তাহার শীতবস্ত্রের জন্য সাধুকে ধরিলেন। শাহজলাল একদা সিকান্দর শাহকে কহিলেন, “দেখ দারুণ শীতের সময় আসিয়াছে, ৰাহীতে শীত নিবারণ হয়,

ভ্ৰমে পতিত হন । গেইট সাহেবও সেই ভ্রম হইতে উত্তীর্ণ হন নাই । ( তৎপ্রণীভ আসামের ইতিহাস ২৭• পৃষ্ঠা । ) বঙ্গাধিপতি সিকান্দর শাহ শ্ৰীহট্টে আসিয়া পরাজিত হন, এবং দিল্লী হইতে আগত সম্রাটভাগিনেয় সিকান্দরও পরাজিত হন। উভয়ের একরূপ নাম ও ঘটনা হওয়াতে এই ভ্রম উপজাত হওয়া বিচিত্র নহে। কিন্তু ঐ সময়ে বঙ্গাধিপতি জীবিত ছিলেন না, এইজন্যই ঐতিহাসিক হাণ্টার সাহেব ইহঁাকে গাজী উপাধিতে বিশেষিত করত: বিভিন্ন বলিয়া প্রতিপাদন করিয়াছেন । যথা—“He subs equently made over the active management of secular affairs to the nominal leader Sekunder Gazi.” S. A. A. WOL. II.