পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9e শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত । [২য় ভা: ২য় খ: لقضصـصـ عاع-عاعا-ہ ইহার পর যদিও কানুনগো পদ ছিল, কিন্তু তাহদের উপর দেশের সম্পূর্ণ শাসনভার ছিল না। দীর্ঘজীবী জাহান খাঁ সুদীর্ঘ কাল কানুনগো পদে অধিরূঢ় ছিলেন, তাহাঁর মৃত্যুর পর কেশওয়ার র্থ কানুনগো পদের সনন্দ লাভ করেন, তাহার উপর শাসন ক্ষমতা ছিল না। কানুনগোদের বিবরণ পশ্চাৎ বর্ণিত হইবে । সম্রাট আকবরের সময়ে সুবা বাঙ্গালার ১৯টি ‘সরকার মধ্যে শ্ৰীহট্ট একতম সরকার (জিলা) রূপে গণ্য হয়। তোডরমল্ল শ্রীহট্টকে আটটি ‘মহলে বিভক্ত ক্রমে প্রতি মহলের রাজস্ব নিৰ্দ্ধারিত করেন । তদনুসারে শ্রীহট্রের রাজস্ব ১৬৭০৪০ টাকা নিরূপিত হয়। আটটি মহলের নাম ও রাজস্বদির বিবরণ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্তের প্রথমভাগ দশম অধ্যায়ে বর্ণিত হইয়াছে। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে সুবার জমা প্রকরণে লিখিত আছে যে, শ্ৰীহট্টে অনেক খোজা ও ক্রীতদাস পাওয়া যায়। আইন-ই-আকবরিতে শ্ৰীহট্টের কাষ্ঠ, কমলালেবু ; শেরগঞ্জ ও বিহঙ্গরাজ পক্ষীর বিবরণও লিখিত হইয়াছে। * সম্রাট আকবরের সময় হইতেই শ্রীহট্ট শাসনের ভার আমিল উপাধিধারী কৰ্ম্মচারীগণের উপর ন্যস্ত হয়। ইহঁরাই পরে ফৌজদার বলিয়া অভিহিত হইতেন । সৰ্ব্বসাধারণে তাহাদিগকে নবাব বলিয়া জানিত, নবাব নামেই তাঁহারা সৰ্ব্বত্র কথিত হইতেন ; এই জন্য তাঁহাদের প্রদত্ত সনদ ইত্যাদিতেও তাঁহাদের নবাব খ্যাতি লিখিত আছে দেখিতে পাওয়া যায়। শ্ৰীহট্টে আমিল পদে যাঁহারা নিযুক্ত হইতেন, সীমান্ত প্রদেশ বলিয়া তাঁহাদের রাজনীতিজ্ঞতা, শৌৰ্য, ও আভিজাত্যুের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা যাইত। ইহারা ঢাকার নবাবের অধীনরূপে গণ্য হইতেন। * ঢাকাতেই তাঁহাদিগকে

  • শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১মভাগ ৩য় অঃ ফলমূল ও বৃক্ষাদি এবং ৬ষ্ঠ অঃ পক্ষী বিবরণ দ্রষ্টব্য ।

f “In the reign of Akber, it (Sylhet) passed with the rest of Bengal into the hands of the Mughul Emperors, and from that time, was ruled by an amil (localy known as Nowab), subordinate. to the Nowabs of Dacca.” Hunter's Statistical Accounts of Assam VOL. II. (Sylhet) P. 92