পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় অধ্যায়। ] नदांदैि पञांभळ । VII ত্রিপুরার অধিপতি প্রবল প্রতাপ বিজয় মাণিক্যের ভ্রাতা অমর মাণিক্য অমর মাণিক্যের ➢ @፭ ግ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনারোহণ করিয়াই ত্রিপুরার डैयैश्छे दिखग्न । সামস্ত নৃপতিগণকে, একটা দীর্ঘিকা খননের জন্য মজুর দিতে আদেশ দেন। অনেকেই ইহাতে মজুর প্রেরণ করিয়াছিলেন ও তাহাদের দ্বারাই সুবিস্তৃত “অমরসাগর” দীর্ঘিক খণিত হয়। এই সময় শ্রীহট্টের তরফ ত্রিপুরার প্রভাবাধীন ছিল বলিয়াই বোধ হয়। অমর মাণিক্য তরফ-পতির উপর মজুর প্রেরণের আদেশ করেন। কিন্তু তরফপতি সে আদেশ গ্রাহ করেন নাই। ইহাতে ত্রিপুরাধিপতি র্তাহার বিরুদ্ধে দ্বাবিংশতি সহস্র সৈন্ত প্রেরণ করেন। ইহার প্রস্তুত ছিলেন না, তাই পলাইয়া শ্ৰীহট্টের আমিলের আশ্রয় গ্রহণ করেন। 警 এই সংবাদ যখন অমর মাণিক্য প্রাপ্ত হইলেন, তখন র্তাহার ক্রোধের সীমা থাকিল না, তিনি কাল বিলম্ব না করিয়া শ্ৰীহট্টের শাসনকৰ্ত্তার প্রতিকূলে সসৈন্তে ধাবিত হইলেন। শ্ৰীযুত কৈলাস চন্দ্র সিংহ তদীয় ত্রিপুরার ইতিহাসে লিখিয়াছেন,—“মহারাজ অমর মাণিক্য রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয় গরুড়বৃহ রচনা করেন, সৈন্যগণের সমষ্টি তাহার দেহ, সম্মুখস্থ দুইজন প্রধান সৈনিকপুরুষ চঞ্চু, এবং উভয় পার্শ্বস্থিত সেনানীগণকে পক্ষ বলিয়া বোধ হইল। অমর মাণিক্য গজারূঢ় হইয়া ব্যুহের পৃষ্ঠদেশে ছিলেন। স্বৰ্য্যোদয় কালে উভয় দলের ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হয়। সায়ংকালে মোসলমানের পরাজিত হইয়া পলায়ন করিল। সম্ভবতঃ ১০১৯ ত্রিপুরাদে (খৃঃ ১৫৯৯ ) এই ঘটনা হইয়াছিল। এই ঘটনার পর মোসলমানেরা যাবৎ শ্রীহট্টের পুনরুদ্ধার সাধন না করিয়াছিল, তাবৎ উহা ত্রিপুররাজের করপ্রদ ছিল।” শ্ৰীহট্টের আমিলের পরাজয় বার্তা দিল্লীতে পৌছিলে, আর এক নূতন ব্যক্তি আমিল পদে নিযুক্ত হইয়া শ্ৰীহট্ট আগমন করেন। তিনি অতি বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন এবং বিশেষ কৌশলে শ্রীহট্টে মোসলমান গৌরব পুনঃস্থাপনে সমর্থ হন। ফলতঃ শ্ৰীহট্টের আমিলগণের কোনরূপ ক্রট প্রকাশ পাইলেই তাহারা পদচ্যুত হইতেন। এইজন্য এক এক সম্রাটের সময় অনেকটি আমিল প্রেরিত হইতেন। 唱 > ఫె