পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাবি আমলে দেশের অবস্থা। ના খৃষ্টীয় ১৭৬৫ অব্দে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী বঙ্গ বিহার ও উড়িষ্যার ইংরেজামলের দেওয়ানী গ্রহণ করেন । শ্রীহট্টও ইংরেজনবাবগণ । করায়ত্ত হয়, কিন্তু ইংরেজগণ শাসন সম্বন্ধে তখন হস্তাপণ করেন নাই ; তাহারা দেওয়ানী বা রাজস্ব আদায়ের ভারই গ্রহণ করিয়াছিলেন মাত্র, পূৰ্ব্ব প্রথমত মোসলমান ফৌজদারই শ্ৰীহটের শাসন কার্য্যে নিযুক্ত ছিলেন । এই সময়ের ফৌজদারদের মধ্যে :–(৩৬) নবাব বিকু খাঁ বাহাদুর (খৃঃ ১৭৭৩), (৩৭) নবাব হায়দর আলী খ বাহাদুর (খৃ: ১৭৭৮) ও (৩৮) নবাব এতেসাম খা বাহাদুরের নামে ভূমি দানের অনেকটা সনদ পাওয়া যায়। এতেসাম খার প্রদত্ত ১৭৯৩ খৃষ্টাব্দের একখানি সনদ মিলিয়াছে ; করিমগঞ্জ সবডিভিসনের অন্তর্গত এতেসাম নগর পরগণ র্তাহার নাম রক্ষা করিতেছে। তংপর (৩৯) নবাব মীর মোহাম্মদ হাদী বাহাদুর (খৃঃ ১৮০২ ) ও (৪০ ) নবাব সদাকত আলী খ। বাহাদুরের (খৃঃ ১৮০৬) নাম পাওয়া যায়। ইহঁার প্রদত্ত সনদে এবং তৎপূর্ববৰ্ত্তী দুই তিন জন নবাবের প্রদত্ত সনদে তাহীদের নামের সহিত “কোম্পানী ইংরেজ বাহাদুর” এই কয়েকট কথাও পাওয়া যায়। - ইহার পরেও শ্রীহট্টে দুই এক জন নবাবের নাম প্রাপ্ত হওয়া যায়, যথা –( ৪১ ) নবাব আবু তুরাব খর্ণ বাহাদুর, ও (৪২) নবাব কাশেম খ। বাহাদুর এবং ( ৪৩) নবাব গণর খাঁ বাহাদুর । নবাব গণর বৃত্তিভোগী মাত্র ছিলেন, ইহর্ণর প্রদত্ত কোনও সনদ শ্রীহট্টের কালেক্টরীতে দৃষ্ট হয় না, ১৮২৯ খৃষ্টাব্দে র্তাহার শ্ৰীহট্ট থাকার কথা জানা যায় মাত্র। নবাবি আমলে দেশের অবস্থা । উচ্চ পদস্থ কৰ্ম্মচারী— নবাবি আমলের শাসন প্রণালী নানা গ্রন্থেই বর্ণিত হইয়াছে। অন্যান্য দেশ যেরূপ শাসিত হয়, নবাবি আমলে শ্রীহট্ট অঞ্চল শাসনেও তাহার ব্যতিক্রম হয় নাই। আমিল বা ফৌজদারগণ পূৰ্ব্বে দিল্লীর অধীনে ছিলেন, পরে রাজস্ব বিষয়ে ঢাকার ও শাসন বিষয়ে মুর্শিদাবাদের অধীনে র্তাহাদিগকে