পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెJ9 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত । [ २झ ख: २ं ९: پہایا۔ অশ্বে আরোহণ পূর্বক সেই নদে স্নান করিতে যাইতেন। যে স্থানে তিনি স্বান করিতেন, তাহা অদ্যাপি স্নানঘাট নামে কথিত হয়।* যে পথ দিয়া স্বানে যাইতেন, তাহ “ত্রিপুরার জাঙ্গাল” নামে অভিহিত হয়। রাজধানী হইতে প্রায় তিন ক্রোশ দূরবর্তী এক নির্জন টলার উপরে তিনি ঈশ্বরোপাসনা করিতেন, ঐ টলাকে লোকে “কীৰ্ত্তনীয়া টলা” বলিয়া থাকে। রাজবাটীতে দেবতা স্থাপিত ছিলেন, প্রত্যহ দেবতার সেবা হইত। দেবতার “ভোগ” আরম্ভ হইলে এক বৃহৎ ঢক্কা বাজান হইত, তাহার মেঘ গৰ্জনবৎ গভীর ধ্বনি তিন ক্রোশ দূর হইতে শ্রুতিগোচর হইত ; তাহ শুনিয়াই রাজা কীৰ্ত্তনীয়া টল হইতে প্রত্যাগমন করত: প্রসাদ পাইতেন । এই ঢক্কা পরে মোসলমানগণ ভগ্ন করিয়া ফেলিয়াছিল । রাজা আচাক নারায়ণের বংশ পরিচয়াদি সম্বন্ধে কিছুই জানা যায় না ; তিনি ত্রৈপুর বংশীয় নৃপতি হইলেও হইতে পারেন ; তন্নিৰ্ম্মিত পথ “ত্রিপুরার জাঙ্গাল” নামে অভিহিত হওয়ার ইহাই কারণ বলিয়া বোধ হয়। আচাক নারায়ণ প্রসিদ্ধ রাজা গৌড়গোবিন্দের সমসাময়িক ছিলেন, এই সময় এ অঞ্চলে মোসলমানগণের আগমন হয় নাই। আচক নারায়ণের অধিকারে তখন কাজি মুরউদ্দীন নিজ পুত্রের বিবাহ উপলক্ষে গোহত্যা করায় রাজাদেশে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। র্তাহার ভ্রাতা হেলিম উদ্দীন + ইহাতে জিঘাংসা পরবশ হইয়া দিল্লী গমন করতঃ সম্রাটসদনে অভিযোগ উপস্থিত করেন। তখন, শ্রীহট্টে মোসলমান প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠার্থ দিল্লী হইতে যেরূপে সৈয়দ নসিরউদ্দীন সিপাইসালার সসৈন্তে প্রেরিত হন, তাহ ইতিপূৰ্ব্বে বর্ণিত হইয়াছে।

  • পৌরাণিক ভগদত্ত রাজা রাজ্যশাসন ব্যপদেশে শ্রীহট্টে আগমন করিলে এই স্থানে

স্নান করিতেন বলিয়া জনশ্রুতি আছে। রাজা আচাক নারায়ণও সেই স্নান ঘাটে গিয়াই প্রত্যহ স্নান করিতেন । + ইহার বংশীয়গণ এখন সাটিয়াজুরীতে বাস করিতেছেন .