পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ੋਂ Σ' οίy' শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত। [ ২য় ভাঃ ২য় ধ: ضعفت অধিকৃত সম্পত্তি হস্তচু্যত হইবার লক্ষণ দৃষ্টে আপোষ করিবার প্রস্তাব করেন। হেদায়েত উল্লা প্রমাদভীরু লোক ছিলেন, তিনি এই প্রস্তাবে অসম্মত হইলেন না। ফতা হেদায়েত উল্লাকে সম্পত্তির “এক তরফ” বা একাংশ ছাড়িয়া দিতে ইচ্ছা করিলে, নিৰ্ব্বিবাদে তিনি তাহাতেই সম্মত হইলেন। অতঃপর এক বাটতে বাস করা অনুচিত মনে করিয়া তিনি পৃথক বাট প্রস্তুত করত: তথায় বাস করিতে লাগিলেন। সম্পত্তির “এক তরফ প্রাপ্ত হওয়ায় হেদায়েতের বংশীয়গণ “তরফদার” নামে কথিত হইয়া থাকেন।* ইতিপূৰ্ব্বে বড়মিয়া বা মিকায়েলের কথা বলা গিয়াছে, তাহার ভ্রাত। নরপতি নিবাসী মুলক-উল-উলামা উপাধিক ইস্রাইলের বিষয়ও “কুতুব-উল-আউলিয়া।" বর্ণন করা হইয়াছে; ইহার এক পুত্র হয়, র্তাহার নাম শাহ ইলিয়াস কুদ্দুস ; ইনি মোসলমান শাস্ত্রে পারদর্শী ও মোসলমান ধাৰ্ম্মিকগণের মুকুটমণি স্বরূপ ছিলেন। শ্রেষ্ঠতম সাধককে মোসলমানগণ “কুতুব” বলিয়া থাকেন, ইনি “কুতুব উল-আউলিয়া” এই উচ্চতম উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। কুতুব-উল-আউলিয়ার নাম তরফ মোসলমান সমাজে গৌরবান্বিত হইয়া রহিয়াছে। খোয়াই নদীর তীরে এক নির্জন কুটীরে তিনি সাধনা করিতেন। কথিত আছে, একদা রাত্রিকালে, আকাশ প্রান্ত উজ্জল করিয়া চন্দ্রকিরণের ন্যায় এক জ্যোতিরেখা তাহার কুটীরে প্রবেশ করিয়াছিল, তদবধি তিনি 'কুতুব-উল-আউলিয়া নামে আখ্যাত হন এবং তাহার বাসস্থান “চন্দ্রচুরি” নামে খ্যাত হয়। কুতুব-উল-আউলিয়া সাহেব পরলোক গমন করিলে, নরপতির নিটবৰ্ত্তী কুতুবের মুড়ারবন্দ নামক স্থানে তাহাকে সমাহিত করা দরগা । হয় ; তাহাতে ঐ স্থান “কুতুবের দরগা” নামে খ্যাত হয় ; কেহ কেহ “মুড়ারবন্দের দরগা”ও বলিয়া থাকে। —- 1

  • বিশ্নকোষের ৫৬৮ পৃষ্ঠায় চট্টগ্রামস্থ তরফ ও তরফদারগণের বিষয়প্রসঙ্গে শ্রীহট্টের তরফদারদের উল্লেখ আছে। তরফদার শব্দের প্রকৃত অর্থ ইহাই বোধ হয়। হুমায়ুনের সময়ে

যাহার গোঁড় হইতে আগমন করতঃ চট্টগ্রামে ভূমির এক এক অংশ অধিকার করিয়াছিল, তাহারাই তথায় তরফদার বলিয়। কথিত হয়। 曹