পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७झै अर्थोप्न 11 তরফের অবশিষ্ট কথা। - وود লস্করপুরের যে স্থানে মুনসেন্ধী কাছারী ছিল, পূর্বে সেই স্থানেই নবাবি তহশীল কাৰ্য্যালয় ছিল। খোন্দকার, শিকদার, কাজি প্রভৃতি রাজকীয় কৰ্ম্মচারীবর্গ ঐ স্থানে বাস করিতেন। কাজি বিচার বিভাগে কৰ্ম্ম করিতেন, শিকদার । গ্রাম্য হাকিমের উপাধি ছিল। তৎকালে কৃষ্ণ শিকদার নামক এক ব্যক্তি তরফে থাকিতেন। ঐ একই স্থানেই লস্করপুর ও স্বলতানশির জমিদারদের ' কাছারী থাকায় ঐ স্থান সহর তুল্য ছিল ও লোকারণ্যের কোলাহলময় থাকিত। আহমদরজা প্রভৃতি কাছারীর সন্নিকটবর্তী হইলেন, খোন্দকারের চর চান্দৰ্থ প্তাহার কাছে তখন এই সংবাদ প্রদান করিল ; খোন্দকার ভাবিলেন, ইহার ভয় প্রদর্শন মাত্র করিতেছে, দলবল সহ নিজ কাছারীতেই উঠিবে ; স্বতরাং নিভীকচিত্তে বলিলেন “কাছারীতে উৎপাত করে, কাহার সাধ্য। যদি আসে, প্রহার করিয়া তাড়াইয়া দিবে।” এতদ্ব্যতীত কোন পাইক বরকন্দাজকে তিনি বিশেষ ভাবে কোনও আদেশ দিলেন না,—কাছারী রক্ষার কোনরূপ বন্দোবস্ত হইল না। 輸 পরক্ষণেই অগ্রগামী আক্রমণকারীগণের আস্ফালন ও চিৎকার ধ্বনি শুনা যুদ্ধ। গেল, কাড়ার কক্কশধ্বনি চতুর্দিকে শদিত হইতে লাগিল ; কাছারী যথারীতি আক্রান্ত হইল। কিন্তু মোতিওর রহমান তখনও ভীত হইলেন ন, তিনি শান্তভাৱে সময়োপযোগী বাক্য বলিয়া দূত পাঠাইলেন, বলিলেন – *আহমদ রজা ও হামিদ রজা দেশের কৰ্ত্তা, যাহা অভিপ্রায় এইক্ষণে করিতে পারেন, অতএব আমার প্রাণবধ না করিয়া সম্মুদ্ধির পরিচয় প্রদান করুন। প্রাণবধ করিলে পশ্চাৎফল শুভ হইবে না, সরকারী কৰ্ম্মচারীর অস্থিখণ্ডও প্রতীক্ষার পরায়ণ হয়।” + তখন কাহার কথা কে শুনে ? ক্রোধের প্রবল উত্তেজনাকালে লোকের : যদি ভবিষ্যৎ জ্ঞান বিলুপ্ত না হইত, তবে পৃথিবীর অনেক পাপ কমিয়া যাইত। খোলাকারের সত্য কথা তখন কে বিচার করে ? তখন কেবল হিংসার কঠোর তাড়ন, জিগীষা বৃত্তির প্রবল উত্তেজনা। শিকাও তেখে আকারদিকে আনাইনে যে নৰাৰ কছাৰী ।