পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অধ্যায়। ] তরফের অবশিষ্ট কথা । , , › :ፃ o-oo: বিলাস পরায়ণ, দাম্ভিক ও তোষামোদ প্রিয় ছিলেন। কথিত আছে যে, এক সওদাগরের তোষামদে তিনি সহস্র টাকার সূচি ক্রয় করিয়া নদীগর্তে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন। ইনি অতি বলবান ছিলেন, সীড়াসি দ্বারা তাহার পৃষ্ঠের চৰ্ম্ম তোলা যাইতে পারিত না। সাত আনি জমিদারদের সহ তাহার আন্তরিক ভালবাসা ছিল না ; কোন রাজকৰ্ম্মচারীর সহিত দেখা করা তিনি আগৌরব মনে করিতেন । কাজেই বন্দোবস্তের কৰ্ম্মচারীর সহিত তিনি দেখা করা আবশ্বক বোধ করেন নাই । * - * সাত আনির জমিদারগণ এইরূপ ছিলেন না, যশোলিপ্ত তাহদের মধ্যে প্রবল ছিল, তাহারা অপেক্ষাকৃত বিচক্ষণ ও উন্নতিপ্রয়াসী ছিলেন । তাহারা কাগজ পত্র সহ রাজকৰ্ম্মচারীর সহিত সাক্ষাৎ করিলেন ও যথাবিহিতরূপে জমিদারী নূতন রূপে বন্দোবস্ত করিয়া লইলেন। সৈয়দ মাজিরের নামে তরফে ১নং তালুকের উৎপত্তি হইল । সাত আনির কার্য্যতৎপরতা দৃষ্টে নয় আনির জমিদার স্বীয় ভ্রম বুঝিতে পারিয়া, কাগজপত্র সহ রাজকৰ্ম্মচারীর সাক্ষাৎ ক্রমে নিজ ক্রট স্বীকার করেন। তখন নয় আনির জমিদার সৈয়দ আহমদ জীবিত না থাকিলেও তদীয় নামানুসারে ২নং তালুকের উৎপত্তি হয়। সৈয়দ এনায়েতউল্লা নামে নয় আনির অপর এক অংশীর নামে ৩নং তালুকের নামকরণ হয় ক্ষ তরফের তুঙ্গেশ্বর, জয়পুর ও স্বঘরবাসী হিন্দু মজুমদারগণও নিজ নিজ অধিকারস্থ ভূমি পৃথকরূপে বন্দোবস্ত করিয়া লন + så এই সময়ে সৈয়দগণের অকৰ্ম্মণ্যতা প্রযুক্ত সঙ্গতিপন্ন প্রজারাও নিজ নিজ নামে ভূবন্দোবস্ত ক্রমে তালুকের অধিকারী হইয়া উঠিয়াছিল। সৈয়দগণের যাহা কিছু ক্ষমতা ছিল, বন্দোবস্তের পর হইতে, তাহা তিরোহিত হয় ; ফলতঃ র্তাহারা সমগ্র পরগণার জমিদার হইতে পারেন নাই। তখনও যদি

  • ফরিদপুরের সৈয়দগণ ইহার বংশধর । ণ ইহাদের কীৰ্ত্তিকথা পরগণার ইতিহাসের সহিত অনেকটা জড়িত থাকিলেও বংশবৃত্তাস্তভাগের গৌরবার্থে সেই খণ্ডেই বিস্তারিতরূপে বর্ণিত হইবে।

২৭