পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ অধ্যায়। ] তরফের অবশিষ্ট কথা । - לס\צ এ স্থানে অবস্থান কালে তিনি বালিশিরার আরও অনেক অংশ ক্রয় করিয়া লইয়াছিলেন। ইহার পর রামগঙ্গা মাণিক্য পুনৰ্ব্বার ত্রিপুরার সিংহাসন লাভ করেন। বিষগাও ও বালিশিরার জমিদারী তদবধিই ত্রিপুরাধিপতির অধিকার ভুক্ত হইয়া রহিয়াছে। এই জমিদারীর আয়তন ১১৩ বর্গমাইল এবং আয় প্রায় ৬৭,০০০ টাকা; লাহারপুরে ইহার সদর কাছারী অবস্থিত।* সৈয়দ মফজল হাসন—হাসন রজার পৌত্র ও নয়েম রজার পুত্ৰ ; ইনি পারস্য ভাষায় স্বশিক্ষিত ছিলেন । তাহার সময়ে রাজস্ব বাকিতে “হিস্ত হাসন রজা” অংশ নিলাম হইয়া যাওয়ায় তিনি বড়ই দুরবস্থায় পতিত হন ; পরে নরপতি নিবাসী সদর-উল-হাসন সাহেবের প্রযত্নে গবর্ণমেণ্টের কোন কৰ্ম্মে নিযুক্ত হন। এক সময় তিনি “হিস্ত হামিদ রজা” তালুক ক্রয় করিতে উদ্যত হইলে, তাহার ‘বিশ্বাস এই পরামর্শ দেন যে, ভবিষ্যতে সৰ্ব্বত্রই জমিদারী প্রথা রহিত হইয়া গবর্ণমেণ্টের ‘খাস’ হইয়া যাইবে, হস্তস্থিত অর্থ নষ্ট কর সঙ্গত নহে। এই পরামর্শে তিনি নিজ সঙ্কল্প পরিত্যাগ করেন। ইনি তেজৰী পুরুষ ছিলেন, ইহার স্বহস্ত লিখিত বহুতর পারস্ত পুথি অদ্যাপি আছে। ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে তাহার মৃত্যু হয়। সৈয়দ আহসন রজা—ইনি নয়েম রজার ভ্রাতপুত্র ও হোসন রজার পুত্র ; কৃত্রিম উপায়ে স্বর্ণ প্রস্তুতের দুরাশায় পতিত হইয়া ইনি অনেক সম্পত্তি বিনষ্ট করেন। ইহার নিকট হইতে রাম নারায়ণ সাহা নামক এক ব্যক্তি “হিন্ত হামিদ রজা” তালুক ক্রয় করেন। সৈয়দ মোহাম্মদ নাসির—খাতিরের পুত্র ; অতিশয় সাহসী ও পরোপকারী ছিলেন ; বিদ্যা ও বুদ্ধিবলে তিনি কথঞ্চিৎ প্রতিপত্তি ও খ্যাতি অর্জন করিতে সমর্থ হন। 啤 সৈয়দ আবদুস সবুর ও আবদুস রহফ—নাসিরের পুত্র স্বয় ; ইহণদের শৈশবাবস্থায় খাজান বাকিতে অনেক ভূসম্পত্তি নিলাম হইয়া যায়। স্বাধীন ত্রিপুর রাজ্যের শাসন সংক্রাস্তু বার্ষিক বিবরণী--১৩১৭ ত্রিপুরাদ, ৩• jši