পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টীকা । ] সপ্তম ও অষ্টম অধ্যায়ের টীকা। ১৬৯ হয়। এই কাগজে সন ১০৩৫ তরিখের সহিত রাজপুত্ৰগণের নাম আছে। অতএব মুৰিদ নারায়ণকে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সমসাময়িক বলাই সঙ্গত । তিনি আরও বলেন যে, আকবরের ‘ওয়াসিল তোমার জমা হিসাবে ইটার নাম নাই, যদি এই হিসাব প্রস্তুতের পূর্বে ইটা বিজিত হইত, তবে অবশুই শ্রীহট্টের মহল সংখ্যায় ইটার নাম থাকিত। 蠍 কিন্তু রঘুনাথ শিরোমণির ভ্রাতা, রাজকন্যার স্বামী নিৰ্দ্ধারিত হইলে এই সকল মতবাদের কিছু মাত্র মূল্য থাকে না, সুতরাং তাহার মতে "সম্ভবতঃ রঘুনাথ নামে রঘুপতির কোন ভ্রাতা ছিলেন না।” এ কথার পোষকার্থে ‘বৈদিক-পুরাবৃত্ত' নামক এক অজানা গ্রন্থের উল্লেখ করা গিয়াছে। বৈদিক পুরাবৃত্তে লিখিত আছে যে, রঘুনাথ শিরোমণি শাহজলাল বিজিত প্রসিদ্ধ গৌড় গোবিন্দের সভাসদ অষ্টাবিংশ প্রদীপ প্রণেতা মহেশ্বর ন্যায়ালঙ্কারের ভ্রাতা ছিলেন ;–রঘুপতির ভ্রাতা নহেন। ঐযুক্ত হরকিঙ্কর দাস ও শ্ৰীযুক্ত গোপাল চন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য আনন্দবাজার পত্রিকায় এ সকল আপত্তির তীব্র প্রতিবাদ করিয়াছেন । যথার্থ তত্ত্বপ্রচার করাই ইতিহাস লেখকের প্রধান কৰ্ত্তব্য। যখন দুই বিসংবাদী মত উপস্থিত হয়, সত্যের স্বক্ষ নিরপেক্ষ আলোকে, সমালোচনাসমার্জনীর সহায়ে আবর্জন পরিষ্কৃত করিয়া তখন প্রকৃত তত্ত্ব প্রকাশ করিতে হয়। আময় একতর অর্থাৎ শ্ৰীযুক্ত ঈশান চন্দ্র চৌধুরীর মত উপরে বলিয়াছি, স্বয়ং কোনরূপ সমালোচনার ভার গ্রহণ না করিয়া, দ্বিতীয় মতটাও এ স্থলে প্রকাশ করিতেছি । ১৩১৩ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়, শ্রাবণ, এই তিন মাসের আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধের সার সৎগ্রহ ক্রমে দ্বিতীয় মতটি লিপিবদ্ধ হইতেছে। বলা বাহুল্য যে, এ মতটি পূৰ্ব্ব হইতেই সৰ্ব্বত্র বহুল প্রচলিত। ( দ্বিতীয় মতের মৰ্ম্ম । রাজা সুবিদ নারায়ণ যে আকবর বাদশাহের পূর্ববৰ্ত্তী, তাহ অনেকেই বলেন। ১২৯৩ সালে প্রকাশিত ‘শ্ৰীহট্ট-দৰ্পণ পুস্তকের ৭২ পৃষ্ঠায় লিখিত