পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত। | २ध्न उt: २ग्न अं "לה ל. --—n —=== এই স্থান ভীষণ বন সমাচ্ছন্ন থাকিলেও, তৎপূর্বে ইহা যে এক স্বসমৃদ্ধ জনপদ ছিল, তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। কাল প্রভাবে জনপদ জঙ্গলে পরিণত হয়, আবার সেই জঙ্গল কালে অপসারিত হইয়া জনপদের আকার ধারণ করিয়া থাকে। সুদূর প্রাচীনকালে এক সময় এই স্থানেই ত্রৈপুর রাজগণের রাজধানী ছিল বলিয়া অনুমান করা হয়। এই ইতিবৃত্তের ২য় ভাগ (১ম খণ্ড) চতুর্থ অধ্যায়ের টাকা প্রসঙ্গে এই বিষয় আলোচিত হইয়াছে * এই স্থান তখন পৰ্য্যন্ত ত্রৈপুর রাজগণের রাজ্যান্তর্গত ছিল ; আমীর আজফর তাঁহাদেরই অধিকার মধ্যে বাস করিতেন। মালিক প্রতাব আমীর আজফরের অধিকৃত আবাস বাটীই সংস্কার ক্রমে বর্তমান রাজবাটীতে পরিণত করেন এবং মসজিদ ইত্যাদি প্রস্তুত করেন । সেই বাটিকার সম্মুখে তিনি যে এক বৃহৎ দীর্ঘিকা প্রস্তুত করেন, তাহাই “রাজবাড়ীর দীঘী” বলিয়া অদ্যাপি খ্যাত হইয়া রহিয়াছে। সেই বাটীর ভগ্নাবশেষই এখন “রাজবাড়ীর জঙ্গল” রূপে পরিণত। “ ঐ রাজ বাটীস্থ অট্টালিকা সমূহে • বর্তমান প্রতাপগড়ের দক্ষিণাংশ গবর্ণমেন্টের রিজার্ভ ফরেষ্টের অন্তর্ভুক্ত ; তন্মধ্যে স্থানে স্থানে জন বসতির চিহ্ন এখনও পরিলক্ষিত হয় । তত্রতা নাগরা ছড়ার তীরে একস্থানে এক বৃহৎ অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে ; ইহা কোন প্রাচীন রাজবাটীর তুল্য ও বহুস্থান বিস্তৃত। ঐ স্থান দিয়া এক সুদীর্ঘ পথ ছিল, ইহার উল্লেখ “হস্ত বোধ” জরিপের কাগজে এবং কোন কোন স্থানে ইহার নিদর্শনও অদ্যাপি আছে। “ৰাজারি” নামক এক স্থানে—সেই নিবিড় জঙ্গলের মধ্যে স্তুপাকারে কেশরাশি পাওয়া গিয়াছে। সাধারণতঃ হাটের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়া লোকে ক্ষৌরি করিয়া থাকে। যখন সেই জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে মনুষ্যাবাস ছিল, এই "বাজারি” নামক স্থানে তখন হাট বলিত। লোকে ক্ষৌরি করায় এক .স্থানে ষে কেশরাশি সঞ্চিত হয়, তাহাই অদ্যাপি তথায় রহিয়াছে। “মন চল যাইরে, প্রতাপগড়ের রাজবাড়ী দেখি আই রে । পানিত কান্দে পানিখাউরি শুকনায় কান্দে ভেড়ী ; কাঁটার জঙ্গল লগিয়া রৈছে আজফরের বাড়ী —মন চল যাইরে ।” ইত্যাদি গ্রাম্য গীতিতে এখনও উক্ত রাজবাড়ীর কথা শুনা যায়।