পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ অধ্যায়। ] প্রতাপগড়ের হিন্দু নবাব । · · R 3MP ਾ

  • *

ধবল ফেপরাশি বিকীর্ণ করিয়া, সাগরোৰ্ম্মির ন্যায় বিশাল তরঙ্গমালা বিস্তার করিয়া, গভীর গর্জনে সৈন-কোলাহল ডুবাইয়া দিয়া, সৈন্তপূর্ণ নৌকাগুলি মুহূৰ্ত্ত মধ্যে কুক্ষিগত করিল! গবর্ণমেণ্ট দেখিলেন যে, রাধারামকে দমন করিতে একটু বিশেষ আয়োজনের আবশ্বক ; যেমন ভাবিতেছিলেন, ব্যাপার তজপ সহজ নহে । 軌 J. এই সময় রাধারাম একদা বলিয়াছিলেন যে “ঘরের ইন্দুর বান্ধ কাটিতেছে।” তাহার মনে মনে হইয়াছিল, স্বীয় বন্ধু কামুরাম চৌধুরীর ভরসা ও বুদ্ধি না পাইলে গোলামরজার ঈদৃশ সাহস হইত ন-গোলাম রজা কামুরামের পরামর্শেই গবর্ণমেণ্টে সংবাদ দিয়াছেন । র্তাহার মনে হইল যে, কাছুরামের নিষেধ অগ্রাহ করায়, ও তাহকে অবিশ্বাস করায়, তিনি গোপনে গোলামরজাকে এই পরামর্শ দিয়াছেন । এইরূপ স্থির করিয়া তিনি বন্ধু কামুরামের উদ্দেশ্যে বলিয়াছিলেন—“ঘরের ইন্দুর বান্ধ কাটিতেছে।” এবং এইরূপ মনে করিয়াই তিনি সঙ্কল্প করিলেন যে, কামুরামকে অচিরেই হত্যা করিবেন। রাধরামের এই ভীষণ সঙ্কল্পের কথা নির্দোষ কাল্লুরাম কিছুমাত্র জানিতে পারিলেন না। 臂 শ্ৰীহট্টের অন্তর্গত ঘিলাছড়া পরগণায় মাছুরাম দে নামে এক সম্রাস্ত কায়স্থ ছিলেন, ইহার এক মাত্র পুত্রের নাম বিনদ রাম, বিনদ রামের সোনা ও হরি নামে দুই পুত্র হয়, ইহার প্রাপ্ত বয়স্ক হইলে আত্মকলহ প্রযুক্ত একান্নবর্তী থাকা অসুবিধা জনক বোধে পৃথক হন। ঐ সময় সোনা অনেক অস্থাবর সম্পত্তি €গাপন করায় হরির মনে বিরক্তি জন্মে। হরি তেজস্বী পুরুষ ছিলেন, ভ্রাতার স্বার্থপরতায় বিরক্ত হইয়া প্রাপ্ত সম্পত্তি ত্যাগ করতঃ অভিমানে তথা হইতে চলিয়া গেলেন। তিনি নানা স্থানে পরিভ্রমণ পূর্বক জফরগড়ের দক্ষিণ প্রাস্তে আসিয়া কোন সম্পত্তিশালী ব্যক্তির একমাত্র কন্যাকে বিবাহ করেন। সে স্থান জফরগড়ের ভূম্যধিকারীদের অধিকারে ছিল। র্তাহার হরিদাসৰে সুদক্ষ ও শিক্ষিত দেখিয়া, র্তাহার দ্বারাই সরকারী রাজস্ব দাখিল করাইতেন। র্তাহীদের নিকট হইতেই হরিদাস স্বীয় বাসস্থান “ মৈনার টুক ” প্রাপ্ত হল । , 齣 通