পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় অধ্যায়। ] বাণিয়াচঙ্গের কথা। \óሻ জমিদার বংশের উল্লেখ করা যাইতে পারে। এই বংশীয় হলাস রাম চৌধুরী দেওয়ান উমেদ রজার এক উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী ছিলেন। প্রভুর জন্থগ্রহে তিনি অনেক ভূমি দান প্রাপ্ত হন। কথিত আছে, তাহার আয়ত্তাধীন ভূমি তখন চাষযোগ্য ছিল না, পরে তাহাই আয়কর হইয়া এক জমিদারী রূপে পরিণত হয়। হুলাস রাম চৌধুরী হইতেই পাইলগার জমিদারী ; ইহা বর্তমান বংশীয়গণও স্বীকার করেন। o . . . . . . ." দেওয়ান সাহেবের দেশের দণ্ড মুণ্ডের কর্তা ছিলেন ; ইহঁাদের হুকুম অগ্রাহ করিবার লোক এদেশে ছিল না। দৃষ্টান্তস্থলে চান্দভরাঙ্গ মৌজার কোন সন্ত্রান্ত মোসলমান ভদ্রলোকের কথা উল্লেখ করা যাইতে পারে। সেই সন্ত্রাস্ত মোসলমান পরিবার বংশমর্য্যাদায় সুনামগঞ্জে অতি সন্মানিত ছিল । এক সময় এই পরিবারের কেহ কোন অবৈধাচরণ করায়, দেওয়ান সাহেবের আদেশে বাণিয়াচঙ্গে আনীত ও প্রাণদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত হন। পরে হুসেন:আলম নামক জনৈক পীর (সাধু) দেওয়ান সাহেবকে বিশেষ অনুরোধ করিলে ইহাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই ঘটনা সামান্ত হইলেও, যখন বাণিয়াচঙ্গের অধিকাংশ সম্পত্তি হস্তচু্যত হইয়াছে, সেই অধঃপতিত অবস্থায়ও তাহদের ক্ষমতা কতদূর ছিল, তাহার পরিচায়ক । এই দেওয়ানবংশের অনেক কীৰ্ত্তি প্রবাদের ন্যায় এদেশে প্রচারিত ; এখনও ইহঁাদের সন্মান দেশে অত্যন্ত অধিক। প্রকৃতপক্ষে বাণিয়াচঙ্গের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি দেওয়ান বংশ হইতেই হইয়াছে। н . . . . . . . ইতিপূৰ্ব্বে বাণিয়াচঙ্গের কয়েকটি প্রধান ব্রাহ্মণবংশের উল্লেখ করা হইয়াছে; তদ্ব্যতীত নাগ, নন্দী, দত্ত ও সেন, বাণিয়াচঙ্গে এই কয়েকটি মৌলিক ভদ্রবংশ । দত্তবংশ এখন নিৰ্ব্বংশ। নবাগত মধ্যে জগদীশপুরের দত্ত, চুন্টার সেন, মুঘরের মজুমদার বংশীয়েরা পূৰ্ব্বগৌরবে সন্মানিত। যথাস্থানে ইহঁাদের বংশ বিবরণ কথিত হইবে। সেন বংশীয় শিবচরণ সেনের দান শক্তিতে লোক মুগ্ধ হইয়াছিল ও র্তাহাকে “দাতা শিবচরণ” বলিত । “দাতা শিবচরণ নাম লোকে অদ্যাপি ভুলে নাই। ஆ. " . . . . 喃 ভট্টদের দ্বারাও বাণিয়াচঙ্গ দূর দূরান্তরে পরিচিত হইয়াছে। মকরদ রায় ও নবনারায়ণভট্ট অতি বিখ্যাত কবিতা, রচয়িতা ছিলেন । জাজিও