পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२न वेश्ानि । ] আহোম বিজয়। নিষেধ করিলেন। জয়ন্তীয়া-পতি স্বীয় রাজধানীতে উপস্থিত হইয়া কাছাড় পতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করিলেন। তদনন্তর তাম্রধ্বজের পত্নী রাণী চন্দ্রপ্রভাবতী জয়ন্তীয়ারাজের বিশ্বাসঘাতকতা ও সমস্ত অবস্থা বর্ণন পূর্বক আসামের অধিপতি স্বৰ্গদেবের সাহায্য প্রার্থনা করিলেন” । } রামসিংহ এই সময় কাছাড়ের অনেক স্থান নিজরাজ্যভুক্ত করিয়া লইয়াছিলেন। বুন্দাশীল ও ইচ্ছামতী দুর্গ এই সময় আক্রান্ত ও পরিগৃহীত হইয়াছিল। গেইট সাহেব লিখিয়াছেন যে, তাম্ৰধ্বজ নিজেও স্বৰ্গদেবের নিকট, জনৈক ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য দ্বারা পূৰ্ব্ব অবাধ্যতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতঃ সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছিলেন। } কাছাড়-রাজ মহিষীর প্রার্থনাকুসারে আহোমরাজ রুদ্রসিংহ, তাম্ৰধ্বজকে সত্বর মুক্তি দেওয়ার জন্য রামসিংহকে, তদীয় সামন্ত গোভা নামক স্থানের আহোম সৈন্ত্যের রাজকর্তৃক জানাইলেন। রামসিংহ তাহাতে কর্ণপাত siনয়ন করিলেন না। ইহাতে রুদ্ৰসিংহ রুদ্রমূৰ্ত্তিধারণ করিলেন। প্রথমেই গোভার বাজার বন্ধ করা হইল, তৎপর ১৭০৭ খৃষ্টাব্দে ডিসেম্বর মাসের প্রথমাংশে ত্রিচারিংশৎ সহস্র (৪৩০০০ ) সৈন্যসহ সেনাপতি বড়বড়ুয়া কপিল উপত্যক পথে জয়ন্তীয়াপুর অবরোধ করিতে ধাবিত হইলেন । দ্বিতীয় একদল সৈন্য সেনা-নায়ক বড়ফুকনের অধীনে গোভার মধ্য দিয়া অগ্রসর হইল । জয়ন্তীয়ার অন্তর্গত বালেশ্বর, ধলাগাও, ও মূলা গোল স্বল্পায়াসেই অধিকৃত হইল। বড়বড়ুয়া মূলাগোল হইতে জয়ন্তীয়া-পতির নিকট এক দূত পাঠাইয়া, তাম্ৰধ্বজকে অর্পণ করা হইবে কি না, জিজ্ঞাসা করিলেন। রামসিংহ তাহাকে এবং বড় ফুকনকে অগ্রসর হইতে নিষেধ করিয়া পাঠাইলেন এবং স্থানে স্থানে কামান পাতিয়া রাখিলেন । কিন্তু যখন বিরাট আহোমবাহিনী সন্নিকটবৰ্ত্তী হইল, নগরে আতঙ্কের উচ্ছাস উঠিল, অন্তঃপুর মধ্য হইতে বিলাপধ্বনি শ্রুত হইতে লাগিল, তখন র্তাহার সাহস ও রণোৎসাহ

  • দেবরাজ ইন্দ্রবংশজ বলিয়া আহোমরাজগণ স্বৰ্গদেব উপাধি ধারণ করিতেন । + শ্ৰীযুত কৈলাস চন্দ্র সিংহ প্রণীত ত্রিপুরার ইতিহাস ৩য় ভাঃ ১ম অঃ ২৬১ পৃষ্ঠা। f Gait's History of Assam. Chap. XI, p. 258.