পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ( পূর্বাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8f बंश्ानि । ] বৃটিশাধিকার। । రికి নরেন্সসিংহ গম্ভীর প্রকৃতি বিশিষ্ট, বুদ্ধিমান ও চরিত্রবান পুরুষ ছিলেন। জয়ন্তীয়া বাসীরা তাহার পরদুঃখ কাতরাদি গুণের কথা এখনও ভুলিতে পারে নাই। ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে ( মাঘমাসে ) দেশের সাধারণ জনগণকে কাদাইয়া নরেন্দ্ৰসিংহ অকালে কালের করাল কবলে নিপতিত হন। রাজ্যহীন হইলেও নরেন্দ্ৰসিংহ প্রজাবৰ্গ হইতে, যে কোনও স্বাধীন দেশের নৃপতির ন্যায় শ্রদ্ধা প্রাপ্ত হইতেন। তিনি যখন জয়ন্তীয়া হইতে শ্রীহট্টে আসিতেন, তাহার সঙ্গে শরীর রক্ষক ও পতাকাবাহী এবং অনুসঙ্গিবর্গ অনুগমন করিত। পথে একদা তদবস্থায় তিনি হঠাৎ ব্যভ্রাক্রান্ত হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হন। রাজা নরেন্দ্ৰসিংহের ভাগিনেয় ও উত্তরাধিকারী ঐযুত নরসিংহ ও ছত্রসিংহ ভূপতি এখন বর্তমান আছেন। ইহার শৈশবেই মাতৃহীন। পরে একমাত্র অভিভাবক স্নেহময় মাতুলের মৃত্যু হইলে, .", একবারে তাহার নিরাশ্রয় হইয় পড়েন। তখন শ্ৰীহট্টের জজ বাহাদুর ইহঁাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন এবং প্তাহাদিগকে শ্ৰীহট্ট সহরে আনাইয়া ইংরেজী শিক্ষার বন্দোবস্ত করিয়া দেন। ইস্থার অনেক দিন শ্ৰীহট্টে অবস্থান করেন, কিন্তু গবর্ণমেণ্ট তাহাদিগকে বৃত্তি দেওয়া আবশ্বক মনে করেন নাই। বিগত ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে তাহার জয়ন্তীয়াপুরে গমন করেন। তাহারা জয়ন্তীয়ায় গিয়া ভগ্নপ্রায় প্রাচীন প্রাসাদের একাংশেই বাস করিতেছেন ! যে রাজবাটী এক সময়ে শ্রীহট্টের গৌরব স্বরূপ ছিল, এখন তাহার শোচনীয় ভগ্নাবস্থা কৃষ্টে কে না ব্যথিত হয় ? প্রস্তর-রচিত প্রকাও দরবার গৃহ, তাহাতে প্রস্তরময় প্রশস্ত ‘চৌকী’ গুলি পড়িয়া གྲྭ་ནག་གི་ রহিয়াছে । সৈন্যাহবানের প্রস্তরময় “বড় মাড়োঁ” নামক উচ্চ মঞ্চ,—প্রয়োজন সময়ে যাহাতে আরোহণ পূর্বক তুর্য্যধ্বনি করিলে বহুক্রোশ দূর হইতে শুনা যাইত ; এবং জয়ন্তেশ্বরীর সুচারু মন্দির ও কোষাগার ইত্যাদি ভাবস্থায় পতিত রহিয়াছে। বৃহত্তর কামান