পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-দ্বিতীয় খণ্ড 0 শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ১১৬ মহেশ্বব নবদ্বীপে প্রসিদ্ধ জগদীশের নিকট শিব পাঠ সমাপন করিয়া তথায় এক টোল প্রতিষ্ঠা করেন, তার টোল পাঠাথি-পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল এবং তিনিও তথায় খ্যাতিপন্ন হন। নবদ্বীপে কোন এক সভায় তিনি সগৰ্ব্বে গৌরব খ্যাপন উপলক্ষে বলিয়াছিলেন ঃ “সৰ্ব্বত্র ত্রিবিধা লোকাঃ উত্তমাধব মধ্যমাঃ । শ্রীহট্টে মধ্যমোনাস্তি চট্টলে নাস্তিচোত্তমঃ।” কৃষ্ণাত্রেয় গোত্রে নয়াগ্রামে আত্মারাম ভট্টাচাৰ্য্য নামে এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন, তিনি কাছাড়াধিপতি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের শিক্ষক ছিলেন; এই জন্য তিনি চাপঘাট পরগণা হইতে কতক ভূমি প্রাপ্ত হন। উক্ত ব্ৰহ্মত্র ভূমি “বটের-চক’ নামে খ্যাত হইয়া অদ্যপি তদ্বংশীয়গণের অধিকার আছে। বিদুষী—এই কৃষ্ণাত্রেয় গোত্রে নয়াগ্রামে বাণেশ্বর ভট্টাচার্যের সহধৰ্ম্মিণী অপূর্ণাদেবী জ্যোতিঃশাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন। সৰ্ব্বসাধারণে তিনি “দ্বিতীয় খনা” বলিয়া কথিত হইতেন। এ বংশীয় তারাকান্ত তর্করত্ব নবদ্বীপে টোল স্থাপন পূৰ্ব্বক বহুকাল অধ্যাপনা করেন। নয়াগ্রামের রামভদ্র ভট্টাচার্য তন্ত্র, জ্যোতিষ ও সঙ্গীত শাস্ত্রে খ্যাতি অজ্জন কবিযাছিলেন। তিনি আয়ুৰ্ব্বেদ ও ধনুৰ্ব্বেদও আলোচনা করিতেন। এসকল মহাত্মাদের আবির্ভাবেই পঞ্চখণ্ডের গৌরব। যে দেশ বিদ্বজ্জন সমালঙ্কৃত, সে দেশের গৌরব কে না করে ? স্বর্ণকৌশিক গোত্রীয়গণ স্বর্ণকৌশিক গোত্রীয় জনাৰ্দ্দন মিশ্র মিথিলা হইতে শ্রীহট্টে আগমন করেন; সে বিবরণ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পূৰ্ব্বাংশে বর্ণিত হইয়াছে। পরিশিষ্টে জনাৰ্দ্দনের একটি বংশধারা দেওযা যাইবে। তদ্বংশে ২০শে ও ২১শে পর্য্যায়ে শ্রীপতি বিদ্যার্ণব ও গঙ্গাধর সাবর্বভৌম এবং ২৭শে পর্য্যায়ে ব্ৰজগোবিন্দ ন্যায়ালঙ্কার প্রভৃতি ব্যক্তি ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। এ বংশে উদ্ভূত রঘুনাথ তর্কবাগীশ ও তৎপুত্র হইতে পঞ্চখণ্ডের স্বর্ণকৌশিকগণ বিশেষ গৌরবান্বিত হইয়াছেন। রঘুনাথের পুত্রের নাম মধুসূদন ভট্টাচার্য, মধুসূদন তন্ত্রশাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন, তাহার ধৰ্ম্মনিষ্ঠা ও দেবভক্তি অনন্য সাধারণ ছিল, তিনি ইষ্টচিন্তা ও ভগাবদৰ্চ্চনায তন্ময় থাকিতেন। একদা এক অলৌকিক মহাপুরুষ র্তাহার প্রদত্ত যত্রাস্তে পঞ্চখণ্ডে সতত বুধ সভা পালদত্তৌক্ষিতাশেী। বাসস্থানং সুবমাং ফলমিতি সুবসা বেষ্টিতং ত্বিক্ষুনদ্যা। তদ্রাজ্যং স্বৰ্গতুল্যাং ত্রিভুবন বিদিতং তত্ৰ সন্তোষ সন্তঃ " এই শ্লোকটি কবি প্যারীচরণের— “শ্রীহট্ট লক্ষ্মীব হাট আনন্দেব ধাম, স্বর্গপেক্ষ প্রিযতব এ ভূমির নাম; জন্মভূমিতেই ইহা আমার নিকটে জিনিয়া ত্ৰিদশালয গৌবব প্রকটে।” ইতিবাক্য স্মরণ করাইযা দেয়। ১৩ মহেশ্বর ন্যানালঙ্কালকে এ দেশের কেহ কেহ বঙ্গ গৌরব বধুনাথ শিবোমলিল মহোদয় বলিতে নিযেধ করেন, তাহা যে একান্ত ভিত্তি শুনা, জগদীশের ছাত্র মে বযুনাথের সহোদব হইতে পাবে না, রঘুনাথ যে মহেশ্বরের পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ছিলেন, তাহা শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তের পূৰ্ব্বাংশে ২ ভাগ ২য খণ্ড ৭/৮ম অধ্যাযেব টীকাধাযে বলা গিয়াছে। এস্থলে পুনরুল্লেখ অনাবশ্যক। ১৪ ইহাদের বংশ- তালিকা জ পলিশিষ্টে দ্রষ্টব্য।