পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৩ পঞ্চম অধ্যায় : আরও কতিপয় বংশ বিবরণ এ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত রাধাকৃষ্ণ ন্যায়রত্ন। রাধাকৃষ্ণের পৌত্র পণ্ডিত রাধানন্দ বিদ্যাবাগীশ । ইহার পুত্র রামদাস তর্কালঙ্কার অত্ৰত্য অৰ্জ্জুন বংশীয়গণের পৌরোহিত্য স্বীকার করেন। অৰ্জ্জুন বংশীয় রতিরাম এক বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন; তাহার চেষ্টাতেই তর্কালঙ্কার তদীয় পুরোহিত্য স্বীকার করিয়াছিলেন। রতিরাম তাহাকে স্বীয় অধীন গ্রাম সমূহের “রাজপণ্ডিতি” বিদায় পাইবার ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছিলেন। রামদাস তর্কলঙ্কারের এক পৌত্রের নাম রাধাকান্ত বাচস্পতি; ইহার এক সংস্কৃত চতুষ্পাঠী ছিল, অনক শিষ্য তাহাতে অধ্যয়ন করিত। তাহার পুত্রের নাম রামরাম ভদ্র। ইটার প্রসিদ্ধ দেওয়ানের দীঘী খনন কালে রামভদ্র বালক মাত্র ছিলেন, রামভদ্র বালক হইলেও সমাগত পণ্ডিতদের সহিত শাস্ত্রচর্চায় সমর্থ হইয়াছিলেন। দেওয়ান শ্যামরায় তুষ্ট হইয়া তাহাকে তখন ১/২ কেদার ভূমি দান করেন। রামভদ্রের প্রণীত সাববেদীয় রুদ্রাধ্যায়ের এক টীকা আছে। ইহার পত্নী সৰ্ব্বানী দেবী উত্তম লেখাপড়া জানিতেন, তিনি স্বীয় শিষ্য যাদবরাম অৰ্জ্জুনকে একদিন একটি কবিতা প্রেরণ করেন, তাহা এই ঃ– “জিতধূম প্রসেকায় জিত ব্যজন বায়বে। মশকায় ময়াকায় সায়মারভ্য দীয়তে।” এই শ্লোক প্রাপ্তে শিষ্য পরদিন একটি মশারি আনিয়া সৰ্ব্বানী দেবীকে প্রদান করেন। রামভদ্র ও তদ্বংশীয় হরিহরের যুক্ত নামে ১১৪নং রাম-হরি সংজ্ঞক একটি তালুক আছে। হরিহরেক পিতামহ রাজেন্দ্রের নামে তত্ৰত ৬৪৩নং তালুকের নামোৎপত্তি হয়। এই বংশীয় রাজবল্লভ একটি দীঘী খনন করাইয়া ছিলেন, “রাজ পুকুর” নামে উহা খ্যাত আছে। এ বংশীয় কৃষ্ণকিঙ্কর ও কামদেব প্রভৃতি তত্ৰত কালভৈরব দেবতার নামে তথায় “ভৈরবগঞ্জ” নামক বাজার স্থাপন করেন। এ বংশে যাহারা উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, শুনা যায় যে র্তাহাদের প্রত্যেকেরই টোল ছিল। এ বংশীয় শ্রীযুত বজনীকুমার কাব্যতীর্থ বিদ্যারঞ্জন হইতে আমরা এই বংশবিববণ ও বংশ তালিকা এবং অৰ্জ্জুন বংশের তালিকা প্রাপ্ত হইয়াছি। ঘৃতকৌশিক গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণ ইটার ক্ষেম সহস্র গ্রামে মৃতকৌশিক গোত্রীয় এক ব্রাহ্মণ বংশের বাস। ইহাদের শুধু নামের তালিকা মাত্র আমরা পাইযাছি। এই গোত্রীয় রামভদ্র কান্যকুব্জ হইতে আসিয়া কাশীতে বাস করেন বলিয়া কথিত আছে। র্তাহা পত্র বলরাম কামরূপস্থ পীঠস্থান দর্শন পূৰ্ব্বক শ্রীহট্টের অন্তর্গত ক্ষেম সহস্ৰে আসিয়া বাস করেন; ইহার প্রপৌত্রের নাম বলগোবিন্দ। বলগোবিন্দের প্রপৌত্র হলধর, হলধরের পুত্র গদাধর তর্কালঙ্কার। ইংহার প্রপৌত্রের নাম গোপীরাম। গোপীরামের চারিজন প্রপৌত্র ছিলেন, তন্মধ্যে রতিরাম জ্যেষ্ঠ; ২ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য ভাগ ২য় খণ্ড ৯ম অধ্যায়ে বতিবামের কথা বর্ণিত হইযাছে এবং পরবর্তী ৬ষ্ঠ অধ্যাযে তদুংশের অবশিষ্ট কথা কীৰ্ত্তিত হইবে। ও উক্ত টীকাব ১ম শ্লোক : —“রুদ্রং প্রণম। সাষ্টাঙ্গং শ্রীবামকদ্র শৰ্ম্মণা।”