পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धमछ कष्यां শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত গ্রন্থেব পূর্বাংশ প্রকাশিত হযেছিল ১৯১০ সালে এবং উত্তরাংশ ১৯১৭ সালে। সেই হিসেবে এই গ্রন্থের বযস আজ প্রায একশো বছব হতে চলল। সবচেযে আনন্দেব কথা, একশো বছরেও এই গ্রন্থেব গুব ? কোনওভাবেই খাটো হযনি, ববং এব জনপ্রিয়তা আজও আকাশস্পশা। যে কোনও গ্রন্থের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা আশ্চর্যের বটেই, পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও আদর্শস্বরূপ। এই সঙ্গে স্মবণ করতে হয এই গ্রন্থের প্রণেতা শ্রীঅচ্যুতচবণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি-ব নাম। তিনি আজীবন শ্রীহট্টে বাস কবে শ্রম, নিষ্ঠা ও অধ্যবসাযেব সঙ্গে সকল বিবরণ সংগ্ৰহ কবেছেন। সংগৃহীত ৩থ্যগুলি একজন গবেষকেব মন ও মনন নিযে বিচাব কবেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন, সর্বোপবি ভিন্নমত যাচাই কবে তবেই গ্রন্থমধ্যে স্থান দিযেছেন। ৩ওনিধি মহাশয় প্রথাবদ্ধ গবেষক ছিলেন না। কিন্তু তাব ছিল বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, সংস্কাবহীন উদাৰ মন। শ্রীহট্টেব ভৌগোলিক বৃত্তান্ত, ঐতিহাসিক কাহিনি, জীবন বৃত্তান্ত, বংশ কথা, প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন লৌকিক কাহিনি, প্রচলিত গল্প ও কিংবদন্তিব মধ্যে প্রকৃত সতী নিরূপণ কবা খুবই দুরূহ ছিল। তত্ত্বনিধি মহাশয় এক্ষেত্রে যুক্তিব উপব জোব দিযেছেন। আজগুবি তথ্য পবিহাব কবেছেন এবং নিবওব সন্ধান কবে গেছেন প্রকৃত সত্যেব। এবপবেও তাব ভুল হতে পাবে বলে বিনম্র স্বীকাবোত্তি করেছেন। কাউকে আঘাত কবা বা দুঃখ দেওযা তাব উদ্দেশ্য নয। তাব ভাষায — শ্রীহটেব ও শ্রীহট্টবাসীর গোববকীৰ্ত্তি প্রখ্যাপনই আমাদেব উদ্দেশ্য। এমন কাজ মুখে বলা যত সতজ, বাস্তবে পরিণত কবার ক্ষেত্রে যে অমানুষিক পবিশ্রম, নিষ্ঠ ও আন্তবিকতা সর্বোপবি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় – সংশ্লিষ্ট কর্মে বত মানুষই তা অনুধাবন কবতে পাববেন । ৩ওনিবি মহাশয সাহিত্যিক হওযার বাসনায় হাতেব কলমকে সবস্বতী জ্ঞানে ধান করেছিলেন। তিনি সাহিতা বচনায কতটা ব্যুৎপত্তি অর্জন কবেছিলেন, সে প্রমাণ আদপে পাওযা যাযনি। কাবণ ৩ বি অধিকাংশ গ্রন্থ প্রকাশের আলো দেখেনি। কিন্তু শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত গ্রন্থটি তাব সকল আশা অব ক্ষাকে পূর্ণ করেছিল সন্দেহ নেই। এজন্য তিনি প্রায জীবন পণ কবেছিলেন। গ্রন্থ বচনাকালে একে একে হাবিয়েছেন স্ত্রী-পুত্র কন্যা-ভ্রাতা। তবু কর্তব্যকর্ম থেকে বিচাত হননি কখনও । শোক দুঃখে পাথৰ হাদয নিযেও প্রকাশনাব কাজ চালিযে গেছেন। এখানে এই কথা বল। নিশ্চযই ত তুণ্ডি হবে না যে, ঔবসজাত পুত্রকে হাবিযে মানসপুত্র স্বকাপ এই গ্রন্থটি তিনি লাভ কবেছেন এবং উপহাব দিয়েছেন (দশবাসীকে আব তাই, এই গ্রন্থ শুধুমাত্র কক্ষ শুষ্ক আবেগবজিত আঞ্চলিক ইতিহাস বীপে গড়ে ওঠেনি। সাহিত্যেব বসে নিষিক্ত হযে, হৃদয়েব সমস্ত আবেগ ঢেলে বচিত হযেছে। ফলস্বকাপ, শ্রীহট্টেব ইতিবৃত্ত আজ মহাগ্ৰস্থবীপে আখ্যাত। আঞ্চলিক ইতিহাস বচনাব একটি আদর্শ গ্রন্থরূপে শ্রীহট্টেব ইতিবৃত্ত-কে চিহিত কবা যায। বতমান খণ্ডি৩ শ্রীহট্ট নয, অতীতেব সমগ্র শ্রীহট্টই এখানে প্রকাশিত। প্রাচীন কাল থেকে ধাবাবাহিক এম অনুসাবে বিন্যস্ত হযেছে। পাশাপাশি বাংলা ও ভাবতেব নানা ঘটনা প্রবাহেব সঙ্গে শ্রীহট্টেব যোগ, প্রভাব ও প্রতিক্রিযাব কথা বলা হযেছে। পূর্বাংশে আছে ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত।