পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় ভাগ-প্রথম খণ্ড 0 শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত ৭০ বিদ্যাবিনোদের বংশ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্তে—-পূৰ্ব্বাংশে নিধিপতির পুরোহিত বাৎস্য গোত্রীয় বিদ্যাবিনোদের নামোল্লেখ করা গিয়াছে।” বিদ্যাবিনোদের প্রকৃত নাম হৃষীকেশ, কিন্তু তাহার উপাধিতেই তিনি সুপরিচিত। বিদ্যাবিনোদ তন্ত্রশাস্ত্রে সুপণ্ডিত ছিলেন। মন্ত্রকোষ ও তন্ত্র চূড়ামণি নামক গ্রন্থদ্বয় তাহার কৃতিত্বের সাক্ষ্য দিতেছে; ইহার মাহাক্স্যে মুগ্ধ হইয়া ইটা-পতি নিধিপতি র্তাহার কাছে মন্ত্র গ্রহণ করেন এবং নিকটেই গুরুকে কতক ভূমি দিয়া স্থাপন করেন, গুরুগৃহ বা গুরুঘর হইতে উক্ত স্থান গয়ঘর নামে খ্যাত হয়। বিদ্যাবিনোদের পুত্রের নাম জনাৰ্দ্দন, তৎপুত্র জগদীশ, তাহার পুত্র ধরাধর, তৎপুত্র পশুপতি, তৎপুত্র নরোত্তম, তৎপুত্র গিরিধারী, ইহার পুত্র হলায়ুধ, র্তাহার পুত্রের নাম নিশাকর, নিশাকরের পুত্রের নাম কংসনারায়ণ, ইনি ইটার রাজা সুবিদনারায়ণের সমসাময়িক।” এক সামাজিক বিষয়ে রাজা সুবিদনারায়ণের সহিত ব্রাহ্মণগণের দ্বিমত ঘটে, ইহাতে অনেক ব্রাহ্মণ দেশত্যাগী হন, কংসনারায়ণের কনিষ্ঠ ভ্রাতাও সেই সময়েই বনভাগ গমন করেন। কংসনারায়ণও রাজসন্নিধানে থাকা অবৈধ বোধে এই সময় ইটা হইতে চেীয়ালিশ গমন করেন। চেীয়ালিশের গুপ্ত ও দত্ত বংশীয় তদীয় শিষ্যবৰ্গ ইহাতে আনন্দিত হইয়া মনুতীরে তাহার বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন; পূৰ্ব্বস্থানের নামানুসারে এই স্থানও গয়ঘর বলিয়া খ্যাত হয়। কংসনারায়ণের পুত্রের নাম সদাশিব, তৎপুত্র জানকীবল্লভ, তাহার তিন পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠের নাম জগদীশ। এই শাখা তথা হইতে লক্ষ্মীপুর আগমন করেন, এবং তাহা হইতে অন্যশাখা মদনপুর ও কালীজুরী বাসী হন। জগদীশের পুত্র পশুপতি, তৎপুত্র রামগোবিন্দ, তাহার পুত্র রামগতি, ইহার পুত্র রাম গোপাল ন্যায়পঞ্চানন এক প্রসিদ্ধ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পুটিয়া রাজ্যের দ্বারপণ্ডিত ছিলেন। “কাল নির্ণয়”, প্রণয়ন পূৰ্ব্বক তিনি অক্ষয় কীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়াছেন। রামগোপালের পুত্র রামবল্লভ, তৎপুত্র রঘুদেব কাশী-বাসী হন; ইহার তিন পুত্ৰ—কাশীরাম বিদ্যালঙ্কার, রূপবাম সৰ্ব্বভৌম ও বাধাকান্ত শিরোমণি; ইহারাও কাশীধামে ছিলেন; কাশীস্থ বাঙ্গালী পণ্ডিত সমাজে তাহাদের বিশেষ প্রাধান্য ছিল। নাটোরের সুবিখ্যাত মহারাণী ভবানী স্বগীয় বিশ্বেশ্বরের মন্দিরের পূৰ্ব্বদিকে এক মঠ নিৰ্ম্মাণ পূৰ্ব্বক কাশীতে “ভবানীশ্বর” শিব স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। উক্ত মন্দির গাত্রে যে শ্লোকদ্বয় খোদিত হয়, তাহার প্রথম শ্লোকটি রূপরাম সৰ্ব্বভৌম কৃত, শ্লোকটি এই ঃ “গৌড় বারেন্দ্র ভূমীন্দ্র রামকান্তস্য ভামিনী। নিৰ্ম্মমে শ্রীভবানী শ্রীভবানীশ্বর মন্দিরম।” ৫. শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২য় ভাগ ১ম ভাগ ১ম খণ্ড ৫ম অধ্যায় দেখ। শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২য় ভাগ ২য় খণ্ড ৭ম অধ্যাযে ইহার বিবরণ লিখিত হইয়াছে। ৭ কেহ আমাদিগকে জানাইয়াছেন যে, ইটার কাছাড়া গ্রামবাসী মুকুন্দ বিশারদ এই শ্লোক রচিতা, সে কথা প্রকৃত বলিয়া বোধ হয় না। と