পাতা:শ্রী শ্রী বৈষ্ণব ইতিহাস - হরিলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sobel শ্ৰীশ্ৰীবৈষ্ণব-ইতিহাস । অধিপতি মামুদ ১০১৮ খ্ৰীঃ অব্দে মথুরামণ্ডল লুণ্ঠন করিয়া ছিলেন। তৎপর ঐ স্থানে বহুকাল জনশূন্য অবস্থায় জঙ্গলাবৃত হইয়া পতিত অবস্থায় ছিল । এক সময় দিলীর সম্রাট আকবর সাহেবের অন্যতর প্রধান কৰ্ম্মচারী মান সিংহ ও স্নায় সিংহ প্ৰভৃতি ধ্যক্তিগণ শ্ৰীধান বৃন্দাবনের দেব মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছিলেন । বাঙ্গালীর মধ্যে নন্দ কুমারের নাম উল্লেখ যোগ্য। তৎপর শ্ৰীগৌরাঙ্গ দেবের কৃপা দৃষ্টিতে বৃন্দাবনের লুপ্ত তীর্থ ও গুপ্ত দেবমূৰ্ত্তি গুলির উদ্ধার সাধন হয় । কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের মতে মথুরায় ( ১ ) কেশবীর ( ২ ) দীর্ঘবাহু ও (৩) বিশ্রাম দেব নামক তিনটী বিষ্ণুমূৰ্ত্তি ( s ) স্বয়স্থ ও ভূতেশ্বর নামে ২টা শিবলিঙ্গ এবং (৬) গোকর্ণেশ্বর নামক ১টা শিব মূৰ্ত্তি এবং ( ৭ ) মহাবিদ্যা নামে একটী যোগমায়ায় মূৰ্ত্তি এই সাতটা দেবমূৰ্ত্তি বিদ্যমান ছিল। গোবৰ্দ্ধন পৰ্ব্বতে হারিদেব এবং গোপাল দেবের মূৰ্ত্তি ছিল। খাদির বনে অনন্ত নাগ মূৰ্ত্তি এবং নন্দীশ্বরে মাধবেন্দ্রপুরী প্রতিষ্ঠিত গোপাল দেবমূৰ্ত্তি ছিল। কিন্তু বৃন্দাবনে সে সময় কোন দেবমূৰ্ত্তিই ছিল না। এজন্য শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের ঈঙ্গিত ও ইচ্ছায় রূপ, সমােতন, শ্ৰীজীব, গোপাল ভট্ট, রঘুনাথ ভট্ট, রঘুনাথ দৰ্শস, ভূগর্ভ, লোকনাথ গোস্বামী, উদ্ধব দাস, যাদবচাৰ্য্য, গোপাল দাস, নারায়ণ দাস, গোস্বামী কৃষ্ণদাস, ঈশান, জগদানন্দ, পুণ্ডরীকাক্ষ প্ৰভৃতি গৌড়ীর বৈষ্ণবগণ বৃন্দাবনে যাইয়া বৃন্দাবনের গুপ্ত দেবমন্দির ও লুপ্ত তীথের উদ্ধার করেন । এই সকল নানা কারণে গৌরাঙ্গদেবের সময় গৌড়ীয় গোস্বামী ও বৈষ্ণবগণের প্রাদুর্ভাব মৃন্দাবনে বশেষ ভাবে প্ৰতিষ্ঠিত হহঁয়াছিল। এই সময় উত্তর পশ্চিম প্রদেশের বল্লভভট্ট, বিঠল দাস ‘ভট্ট, গোপীনাথ