পাতা:শ্রী শ্রী বৈষ্ণব ইতিহাস - হরিলাল চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δ S \ο শ্ৰীশ্ৰীবৈষ্ণব-ইতিহাস । রাধাকুণ্ডে স্নান যেই করে একবার । রাধিক সমান প্ৰেম জনমে। তাহার ৷ স্নান পান মাত্র ছুটে সংসারের ফঁাসি । তৎক্ষণাৎ হয়। সেই রাধিকার দাসী ৷ শ্যামকুণ্ড মানে শ্ৰীরাধিক প্রীত হন। রাধাকুণ্ড মানে কৃষ্ণ বিক্রীত মানেন ৷” শ্যামকুণ্ড রাধাকুণ্ড সৃষ্টি প্রকরণ । শ্ৰীক্লষ্ণ একদিন বৃষাসুরকে বধ করিয়া শ্ৰীমতীর কুঞ্জৰ্দ্ধারে উপস্থিত * চলে শ্ৰীমতী রাধিক গোবধকারী শ্ৰীকৃষ্ণের অঙ্গ স্পর্শ করিতে অনিচ্ছা! প্ৰকাশ করিলেন, এবং তিনি ‘গোহত্যিাকারীকে স্পর্শ করিতে নাই ব লয়৷ শ্ৰীকৃষ্ণকে নানাপ্রকার কটু উক্তি ও ধিঙ্কারসুচক বাক্য প্রয়োগ করিলেন । ইহাতে শ্ৰীকৃষ্ণ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হইলেন, এবং কি করিলে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়, তাহার প্রতিকার প্রার্থনা করিলেন । সখীগণ সমভিব্যহারে শ্ৰী রাধা বলিলেন “সৰ্ব্বতীর্থ জলে স্নান করিতে পারিলে এই পাপ হইতে মুক্ত হওয়া যায় ।” তখন শ্ৰীকৃষ্ণ বংশীর অগ্রভাগ দ্বারা মৃত্তিক আঘাত করিয়া একটী কুণ্ড প্ৰস্তুত করিলেন এবং সেই স্থানে সৰ্ব্বতীর্থ জল আনয়ন করিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণ এই কুণ্ডে স্নান করিয়া পবিত্ৰদেহ হইলেন । এই কুণ্ডই “শ্যামকুণ্ড” বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকে । এই শুষ্ঠামকুণ্ড ও তন্মাহাত্ম্য দর্শনে শ্ৰী রাধিক অত্যন্ত লজ্জিতা হইয়া নিজ কিরকঙ্কণাঘাতে এক কুণ্ড সৃষ্টি করিলেন ; এবং ইহাতে বহুতীর্থ-বারি। আনয়ৰ পূৰ্ব্বক পুতসলিল কুণ্ড প্ৰস্তুত করিলেন । তদবধি এই কুণ্ড “রাধাকুণ্ড” বলিয়া"আখ্যা প্ৰাপ্ত হইয়াছে।”