শ্ৰীশ্ৰী বৈষ্ণব-ইতিহাস سb\ জল তুলসী দ্বারা জীব-উদ্ধার হেতু ভগবানের অবতারের উপস্থিতি প্রার্থনা করিয়া তাহার আগমন প্ৰতীক্ষা করিতে লাগিলেন । শ্ৰীগৌরাঙ্গ জন্ম। শ্ৰীনবদ্বীপ ধামে শচীঠাকুরাণীর ক্রমাগত ৮টা কন্যা ভূমিষ্ঠ হইয়া বিনষ্ট হইল। পরে ৯ম গর্ভে ১টী পুত্ৰ সন্তান হয়। এই পুত্রের নাম বিশ্বরূপ । ইনি শ্ৰীগৌরাঙ্গসুন্দরের জ্যেষ্ঠ সহোদর। ইহার ৭৮ বৎসর বয়সের সময়ে জগন্নাথ মিশ্র স্ত্রীপুত্ৰ সমভিব্যাহারে একবার জন্মভূমি দর্শনে শ্ৰীহট্টে দক্ষিণঢ়াক গ্রামে গমন করিয়াছিলেন। তৎপর ১৪০৬ শকে মাঘমাসে শচীঠাকুরাণীর পুনরায় “গৰ্ভসঞ্চার হয়। এই সময়ে নন্দনকাননের বিকশিত পারিজাত কুসুমের স্তায় শচী দেবীর মুখশ্ৰী ও দেহকান্তি দিন দিন নুতন শোভায় শোভিত। হইতে লাগিল । এই গর্ভাবস্থায় শচীদেবী ও জগন্নাথ মিশ্রেীর মাতা শোভাদেবী নানপ্ৰকার অলৌকিক ঐশ্বরিক স্বপ্ন দর্শন করিতেন। শচীর এই গর্ভাবস্থার সময়, মাতার আদেশক্ৰমে, জগন্নাথ মিশ্র দশহরার গঙ্গাস্নান উপলক্ষে স্ত্রীপুত্র সহ শ্ৰীনবদ্বীপধামে প্রত্যাগমন করিলেন। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস চলিয়া গেল, দশম মাস উত্তীর্ণ হইল । কিন্তু সন্তান ভূমিষ্ঠ হইল না। ইহাতে স্বামী স্ত্রী উভরের মনেই নানাপ্ৰকার চিন্তার বিষয় উপস্থিত হইল। এইরূপ চিন্তায় ত্ৰয়োদশ মাস অতিবাহিত হইয়া গেল। পরে ১৪০৭ শকে, ইং ১৪৮৫ খ্ৰীঃ অব্দে চতুৰ্দশ মাসে ফান্তনী দোলপূর্ণিমা তিথিতে রবির কিরণ ধরাতল পরিত্যাগ করিয়া অস্তাচলচুড়ায় আরোহণ করিলে, উত্তরফন্তু নী নক্ষত্রে, সিংহ লগ্নে, সিংহ রাশিতে, জীবের উদ্ধার হেতু হরিনাম বিতরণ করিবার নিমিত্ত, রাধার ভাব ধারণ করিয়া চন্দ্ৰগ্ৰহণের সময় শ্ৰীশ্ৰীগৌরান্দিসুন্দর জন্ম গ্ৰহণ করিলেন। গ্রহণের সময় বলিয়া, শ্ৰীধাম নবদ্বীপের ভাগীরথী তীর কীৰ্ত্তন ও হরিধবনি শব্দে প্ৰতিধ্বনিত হইতে লাগিল । শ্ৰীগৌরঙ্গসুন্দরের ভবিষ্যৎ জীবন যে ভাবে অতিবাহিত হইবে তাহা যেন
