পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৩ সাস্ব সরিক উপহার । , যত প্রকার সুখের স্থষ্টি করিয়াছেন তাহার উপাসনা করিতে হইলে তাহার একটি সুখও পরিত্যাগ করিতে হয় না, প্রত্যুত তস্থার সেই সমস্ত সুখ আরও আমাদিগের নিকট দ্বিগুণীভুক্ত হইয় উঠে। প্রিয় বন্ধুর হস্ত হইতে কোন সুখদ দ্রব্য প্রাপ্ত হইলে সে দ্রব্য উপভোগ করিয়া যাদৃশ সুখী হওয়া যায়, সামাস্তত কোন সুখকর বস্তুর উপভোগ দ্বারা কি কখন সে প্রকার সুখ উৎপন্ন হইতে পারে । পিতা প্রসন্ন বদনে স্নেহ পুৰ্ব্বক সন্তানকে কোন প্রসাদ চিহ্ন প্রদান করিলে, ভদ্বার সন্তানের মনে যে প্রকার আনন্দ জন্মে, সহজে কোন বস্তু দ্বারা কি কখন তাহার মনে তাদৃশ আহলাদ জন্মিতে পারে । অতএব যে সমস্ত ধীর ব্যক্তি আনন্দময় পরমেশ্বরকে সৰ্ব্বদা প্রণয়াম্পদ পরম বন্ধু রূপে প্রত্যক্ষ করেন এবং র্যাহারা উহাক্কে ভক্তি ভাজন পিতৃরূপে অহরহ সাক্ষাৎ সন্দর্শন করিয়া থাকেন, তাহার এ পৃথিবীতে কোন বিষয়ে স্থখ ভোগ করিয়া ষে প্রকার আনন্দ লাভ করেন, যাহার ঈশ্বরেতে তাদৃশ ভক্তি ও প্রীতি না থাকে সে ব্যক্তি কখনই সে রূপ সুখ ভোগ করিতে পারে না । ঈশ্বরপরায়ণ প্রেমিক ব্যক্তি ‘পৃথিবী মধ্যে যে কোন প্রকার সুখ লাভ করেন, তিনি তখনি তাহার মধ্যে র্তাহার প্রণয়াস্পদ পরমেশ্বরের অসদৃশ প্রেমময় ভাব সন্দর্শন করিয়া এক মাশ্চর্য ও অনিৰ্ব্বচনীয় সুখে সুখী হয়েন, অতএব তাহার সুখের সহিত কখন সামান্ত সুখের তুলন। হইতে পারে না । অপিচ যে পুরুষ সৰ্ব্বদা জগদীশ্বরের প্রেমে আপন মনকে নিমগ্ন করিয়া রাখিতে পারে, সে যে আর একটি প্রকার আশ্চর্যা সুখ ভোগ করে, তাহর সহিত সংসারের কোন সুখেরই তুলনা হইতে পারেন এবং যে ব্যক্তি কখন সে সুখ উপভোগ না করিয়াছে সেও কখন কেবল অম্বুমাৰ দ্বারা সে স্বখের অনুভব করিতে সমর্থ হয় না। প্রবণেন্ত্রিয় যেমন সুপ্রায় সঙ্গীত আলাপের মধুর দ্বনি শ্রবণ করিবার জন্য প্রস্তুত রহিয়ুচ্ছ, রসন যেমন উৎকৃষ্ট উপাদেয় খাদ্য দ্রব্যের রস মাধুরী আস্বাদ করিবার জন্য ব্যগ্র রহিয়াছে এবং স্ত্ৰাণেজ্জিয় যেমন সৌগন্ধ কুসুম সৌরভ দ্বারা ভূপ্ত হইবার জন্ত সতত ইচ্ছা করিতেছে,