অষ্টাধিংশ স1স্বৎসরিক, ১৭৭৯ শকের তৃতীয় বক্তৃত । 3 J সকল সুখকর জ্ঞানেন্দ্রিয় লাভ করিয়া—দুলভ মনুষ জন্ম প্রাপ্ত হইয় যে ব্যক্তি সেই সৰ্ব্ব সুখদাতার প্রেমে মগ্ন না হয়, সে কি মহুষ্য ? : যেমন পিতার জীবন পুত্রদিগের সুখের নিমিত্ত, যেমন দয়াবানের জীবন অনাথের জন্য, সেই প্রকার ঈশ্বরের সম্ভাব কেবল জীবের মঙ্গলের নিমিত্ত । মনুষ্য পৃথিবীতে সহস্ৰ সহস্ৰ পুণ্য কৰ্ম্মাহুষ্ঠান করিয়া সে প্রকার সুখ লাভ করিতে পারেন না, ষ হৈ র্তাহার প্রেমের প্রেমিক ব্যক্তি লাভ করিয়াছেন । যিনি যে পরিমাণে র্তাহার নিয়মাহুগত হইয়া চলিবেন, তৎপরিমাণে ভিনি সুখী হইবেন । তিনিই পুরাতন, তিনিই প্রজাদিগের মুক্তিদান জন্য মুক্ত হস্ত, সকলে মিলিয় তাহারই পদে প্ৰণিপাত কর । র্যাহার। র্তাহ ব্যতীত অন্যকে উপাসন করেন, তাহদিগের ভ্রান্তির আর অন্ত নাই “ নেদং যদিদমুপাসতে ’ লোকে যাহ উপাসনা করে তাহ ঈশ্বর নয়। সেই এক অদ্বিতীয় ঈশ্বরের আশ্রয় ব্যতীত এই বিচিত্র ভয়ে"ম্ভাবক সংসার হইতে উত্তীর্ণ হইবার আর পথ নাই “ মান্তঃ পন্থবিদ্যভে২যনায় ” মুক্তির জন্য অস্ত আর উপায় নাই । তাহার স্মরণ শ্রবণ কীৰ্ত্তন করিলে আত্মা পবিত্র হয়, তাহাকে প্রীতি করিলে এবং তাহার ইচ্ছামত কাৰ্য্য করিলে ভ্রম পথের পথিক হইতে হয় না। আমাদিগের দেহ দ্বার। যে কৰ্ম্ম নিম্পন্ন হয় ব| বাক্য দ্বারা যtহ। উচ্চারিত হয় অথবা মন দ্বারা যাহ। আন্দোলিত হয়, উহা আত্ম প্রসাদের অবিরোধী হইলে আমরা সহজেই জ্ঞাত হইতে পারি ষে ঈশ্বরের আজ্ঞাধীন হইয়। চলিতেছি, নতুব তর্ক দ্বারা উহ। নির্ধারণ করা সহজ ব্যাপার নহে। এই জগতের অধিকাংশ লোকেই ইতস্ততঃ বৃথা ভ্রমণ করিতেছে, কিন্তু তিনিই যথার্থ ধৰ্ম্ম পদৰীতে পদ পণ করিতেছেন, যিনি সকল প্রণয়ের অস্পদের প্রতি—সকলের কারণের প্রতি শ্রদ্ধ ভক্তি প্রীতি করিয়া যথাসাধ্য র্ত হার প্রিয় কাৰ্য্য সাধন করিতেছেন । তিনিই ধনুত, তিনিই যথার্থ পুণ্যবান। এরূপ মহাত্মা যদি সমস্ত ভূমণ্ডল নিজয়ত্ত করিক্তে পারেন, তথাপি, তিনি ধৰ্ম্মপদবী হইতে এক পদও
