Se -- সাজৎশক্টিক উপস্থায় ; $ এ দেশে জানোৎপত্তির সম্ভাবনা পর্যন্ত দুর হইল, ইহাতে ভারত বর্ষে সত্য ধৰ্ম্মের পথ প্রায় একে বারে রুদ্ধ হইল । এবশুপ্রকণর সময়ে ঈশ্বর প্রসাদে এ দেশ ইংলগুীয় সুপণ্ডিত দ্যায়বান, মনুষ্যদিগের অধিকৃত হওয়াতে অদ্য দিক অর্থাৎ ইউরোপ হইতে বিদ্যার স্রোত প্রবাহিত হইয়! এ দেশস্থ লোকের অন্তঃকরণকে অজ্ঞানরূপ মলিন তা হইতে পরিস্কার করিতেছে । বিশেষতঃ পরমেশ্বরের প্রসন্নতাবশতঃ তাহার যথার্থ উপাসক, ভারত বর্ষের পরমহিতৈষী স্বদেশে জ্বলকারী, আশ্চর্য বুদ্ধিমান, এক অসাধারণ মনুষ্য বঙ্গ ভূমিতে অবতীর্ণ হইয় পুনৰ্ব্বার এক সৰ্ব্বশক্তিমান আনন্দস্বরূপ পরমেশ্বরের উপাসনা প্রচার করিলেন—এই মহাত্মার নাম স্ত্রীযুক্ত রামমোহন রায় । তিনি স্বয়ং একাকী তর্কের দ্বার সকলকে নিরস্ত করিয়া এই সিদ্ধান্ত করেন যে এক অপ্রত্যক্ষ পরব্রহ্মের আরাধনাই যথার্থ ধৰ্ম্ম, এবং কেবল ইহাই বেদ দি সকল শাস্ত্রের তাৎপর্য্য, এবং তাহার আলোচন জন্য ১৭৫১ শকের এই ১১ মাঘ দিবসে এতৎ ব্রাহ্মসমাজ এই স্থানে প্রতিষ্ঠা করেন । এ সমাজ যদিও অতি দুঃসাধ্য কার্য্যের ভার গ্রহণ করিয়াছেন তথাপি ইনি যে ক্রমশঃ কৃতকাৰ্য্য হইতেছেন তাহার সংশয় নাই । ইহার স্থাপন কৰ্ত্ত শ্ৰীযুক্ত রামমোহন রায়ের সময়ের সহিত এ সময়ের তুলনা করিলে এই ক্ষণে ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচারের বাহুল্য প্রমাণ হইবে । তাহার প্রথম কালে কণ্টকিবনের মধ্যে এক চম্পক বৃক্ষের ন্যায় তিনি এ দেশস্থ অজ্ঞানিদিগের মধ্যে এক মাত্র জ্ঞানী দীপ্তবান ছিলেন । তিনি শারীরিক আয়াস, মানসিক পরিশ্রম, দেশ পর্যটন, অর্থের ব্যয়, 'মানের ক্রটি, পরিবারের যন্ত্রণ ইত্যাদি নানা ক্লেশ সহ্য করিয়া ও ঈশ্বরজ্ঞান প্রচারে কণল । ক্ষেপণ করিয়াছিলেন ; তথাপি প্রায় সমুদায় স্বদেশস্থ ব্যক্তি র্তাহার প্রতি শক্রভাব ব্যতীত এক দিনের নিমিত্তে মিত্রভাবে কটাক্ষপাত করে নাই । কিন্তু এ সময়ে তিনি অসত্ত্বেও কত ব্যক্তি স্বীয় ইচ্ছায় তাহার পশ্চাদ্ধৰ্ত্তি হইয়া ব্রহ্মজ্ঞান প্রচারের নিমিত্তে ব্যগ্র হইয়াছেন,
