স্থাত্রি৯শ সfস্বৎসরিক, ১৭৮৩ শর্কের প্রথম বক্তত্ত । >守為 পৃথিবী প্রীতি পবিত্রতা ও আনন্দে আকুরঞ্জিত হইয়া স্বর্গ তুল্য হইবে ; অদ্য সেই সমাজের জন্ম দিবস। আমাদের কি সৌভাগ্য যে আমাদের জীবন এই পবিত্র উৎসবের পবিত্র অনন্দে আনন্দিত হইতেছে। অদ্য সেই “রস-স্বরূপ” সেই প্রাণের প্রাণকে প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিতেছি । তিনি যে কেবল অদ্যই আমারদিগের উপর করুণ বৰ্মণ করিতেছেন, এমত নহে । যিনি মঙ্গলস্বরূপ, যিনি পিতা পাতা সুহৃদ, তাহার করুণর প্রবাহ নিরন্তর প্রবাহিত হইয়া আমাদিগকে প্লাবিত করিতেছে । গত বর্ষের প্রত্যেক ঘটনাতে র্তাহীর মঙ্গলভাব প্রকাশ পাইয়াছে । আমাদের কখন সুখ, কখন দুঃখ, কখন সম্পদ, কখন বিপদ হইয়াছে ; কখন বা বন্ধুবান্ধবাদি দ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়। সৌভাগ্য সমীরণ সেবন করিয়াছি, কখন বা যন্ত্রণ ক্লেশে সংসারের কঠোরতার পরিচয় পাইয়। একাকী বিলপ করিয়াছি । কত প্রকার পরিবর্তন হইয়ছে, কত প্রকার ঘটনার মধ্য দিয়া জীবনের স্রোত প্রবাহিত হইয়াছে। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! সেই মঙ্গলস্বরূপের মঙ্গল-দৃষ্টি সকল সময়ে সকল অবস্থাতে আ মারদের উপরে স্থির ছিল ; তঁহার প্রীতি-ক্রেীড় হইতে অমর কখন বিচ্ছিন্ন • হুই নাই । আপশ্চর্য র্তাহার করুণ ! যখনি শোকে কাতর হইয়। র্তাহার নিকটে ক্ৰন্দন করিয়ছি, তিনি আমার অশ্রুজল মোচন করিয়া সাস্তুনা দ্বারা তাপিত হৃদয়কে শীতল করিয়াছেন ; পাপ পঙ্কে পতিত হইয় যখনি অস্থতাপিত চিত্তে র্ত হার শরণাপন্ন হইয়াছি, তিনি হস্ত প্রসারিত করিয়া আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন ; ঘোর নিশীথ সময়ে যখন নিদ্রায় অভিভূত হইয় এক কী সংসারারণ্যে আমি নিতান্ত অসহায় অবস্থাতে ছিলাম, তখন । তিনি আমার নিকটে থাকিয় আমার দেহ মনকে রক্ষা করিয়াছেন ; যখন সুখের জন্য ধর্মের জন্য র্ত হার চরণে কৃতজ্ঞতা উপহার অর্পণ করিয়াছি, তিনি তাহ প্রসন্ন হইয় গ্রহণ করেয়ছেন । সেই অনাদনন্ত, সেই ভূমণ্ডলের অধীশ্বর, যিনি দেশ কালের অতীত, র্যাহার শাসনে সমুদয় জগৎ চলিতেছে ; সেই ভুম সেই মহান, এই পৃথিবীর ক্ষুদ্র জীব যে অমর, আমার
