পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ সাস্ব সরঞ্চ, ১৭৭২ শঙ্কের প্রথম ৰজ্ঞতা । ২৫ সকলকেই স্বদেশীয় মছুষা বোধ করিতেন, এবং তিনি স্বয়ং যে জ্ঞান রত্ন লাভ করিয়াছিলেন, তাহ সৰ্ব্ব সাধারণকেই বিতরণ করিবার নিমিত্ত ব্যগ্র ছিলেন। এক মাত্র অদ্বিতীয় জ্ঞানস্বরূপ পরমেশ্বন্ধের উপাসনা পৃথিবীর সর্ব স্থানে ব্যাপ্ত হয়, ইহাই উপহার বাঞ্ছিত ছিল । যে পরম ধৰ্ম্ম সমুদায় মমুখ্যের মানস-পটে ও সকল ৰাহ্য পদার্থের সর্ব স্থানে অবিনশ্বর অক্ষরে লিখিত রহিয়াছে, এই বিশ্বরূপ অভ্রান্ত গ্রন্থই যে ধর্মের সাক্ষী, সুতরাং যাহার প্রামাণ্য বিষয়ে লেশ মাত্ৰও সংশয় নাই, তাহাই প্রচার করুণার্থে তিনি প্রাণ পৰ্য্যস্ত পণ করিয়াছিলেন । তিনি কেৰল এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান নিখিল ব্রহ্মাণ্ড রূপ সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট গ্রন্থ মাত্রকে পরমেশ্বর-প্রণীত শাস্ত্র স্বরূপ বিবেচনা করিতেন, এবং তদীয় আলোচনী এবং তমূলক গ্রন্থাস্থশীলন দ্বারা স্বয়ং চরিতার্থ হইয়াছিলেন । তিনি নানা দেশীয় নানা জাতীয় পণ্ডিতদিগের সহিত বিচার করিতেন, এবং তঁাহীরদের স্বীয় স্বীয় শাস্ত্র হইতে সত্য ধর্শ উদ্ধৃত করিয়া উহারদিগের বোধসুলভ কঞ্জয়া দিতেন । তিনি যেমন স্বদেশীয় পণ্ডিতদিগের সহিত বিচার কালে স্বদেশীয় শাস্ত্রের প্রমাণ প্রয়োগ করতেন,• সেই রূপ মোসলমানদিগের সহিত বিচার কালে কোরাণের প্রমাণ এবং খ্ৰীষ্টানদিগের সহিত বিচার কালে বাইবেলের বচন উদ্ধৃত করিতেন, কারণ সত্য-স্বরূপ মহারস্তু সৰ্ব্ব স্থান হইতেই লগুনীয়। তিনি এই রূপ বিচারে সমুদায় প্রতিপক্ষ নিরস্ত করিয়া স্বীয় পক্ষ স্থাপিত করিয়াছিলেন, এবং হিন্দু মোসলমান খ্ৰীষ্টান তিমেরই মধ্যে কতিপয় ব্যক্তিকে আপন ধর্মে নিবিষ্ট করিয়াছিলেন। এই ব্রাহ্ম-সমাজ তাহার প্রদর্শিত পথাবলম্বি ব্রহ্মোপাসকদিগের সাধারণ উপাসনা-স্থান, এবং সকল দেশে উাহার যে ধৰ্ম্ম প্রচারের অভিলাষ ছিল, তাহাই এই ব্রাহ্ম-ধৰ্ম্ম । তাহার এই প্রফণর মহৎ অভিপ্রায় ছিল, যে পরাৎপন্ন পরমেশ্বর আমারদিগের সকলেরই পরমপিতা, সকলেরই পরমারাধ্য এবং সকলেরই পরম প্রীত্তিভাজন। তিনি “ সৰ্ব্বস্ত প্ৰভুলীশানং সৰ্ব্বস্য শরণং সুহৃৎ” সৰুলের প্রভু, সকলের ঈশ্বর, সকলের শরণা, সকলের স্থহৎ । §