পাতা:ষট্‌ত্রিংশ সাম্বৎসরিক উপহার.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ সাম্ব হসপ্লিক্ক, ১৭৭৬ শকের প্রথম বক্তৃত । ** ষে রূপ পরিশুদ্ধ ধৰ্ম্ম, রামমোহন রায়ের মত তদন্থরূপ পরিশুদ্ধ ছিল না, এবিষয়ে অনেকেই সন্দেহ করিয়া থাকেন । র্তাহারা কহেন তিনি ব্রাহ্মদিগের ন্যায় প্রাচীন শাস্ত্র সমুদায় পুরিত্যাগ করেন নাই, এবং পরম্পরাগত বৈদান্তিক মতেও অশ্রদ্ধ করেন নাই ; তিনি এতদেশীয় সকল শাস্ত্রই অভ্রান্ত আগু-বাক্য বলিয় বিশ্বাস করতেন, এবং তন্নিমিত্তই, সমুদায় শাস্ত্রের প্রমাণ প্রয়োগ প্রদর্শন করিয়া বিচার করিতেন, এবং সৰ্ব্ব শাস্ত্রের সারাংশ সঙ্কলন করিয়া প্রচার করিতেন । কিন্তু উtহাদিগের এই অভিপ্রায় যে কোন মতেই প্রমাণিক নহে, এবিষয়ে একাদি ক্রমে সমুহ যুক্তি প্রদর্শিত হইতেছে । - প্রথমতঃ —রামমোহন রায়ের বুদ্ধি, বিদ্যা ও ক্ষমতার বিষয় বিবেচনা করিলে, তিনি যে কতক গুলি, অসঙ্গতি-পরিপূর্ণ, পুরাতন পুস্তক পরমেশ্বর-প্রণীত অভ্রান্ত শাস্ত্র বলিয়া অঙ্গীকার করিতেন, ইহ সহসা স্বীকার করা সুকঠিন কৰ্ম্ম । বরং সবিশেষ মনোযোগ পুৰ্ব্বক তাহার প্রণীত পুস্তক পরম্পর পাঠ ও পর্যা- . লোচনা করিয়া দেখিলে, বিপরীত পক্ষই সঙ্গত বোধ হয় । র্তাহার গ্রস্থ অধ্যয়ন করিলে নিশ্চয় হয়, তিনি ৰহু দেশের বহু’ গ্রন্থের অস্থশীলন করিয়া আপনার অসামান্ত বুদ্ধি বলে নিৰ্দ্ধারণ করিয়ছিলেন, স্থষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-কারণ, একমাত্র, অদ্বিতীয়, নিরাকার পরমেশ্বরই মানব জাতির উপাস্য পদার্থ, তিনিই তাহদের ঐহিক ও পরিত্রিক মঙ্গলের অদ্বিতীয় কারণ, এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান বিশ্বমাত্রই তাহার প্রণীত একমাত্র ধৰ্ম্মশাস্ত্র স্বরূপ, এবং এই অতি প্রগাঢ় অভ্রান্ত শাস্ত্র রূপ মহসিন্ধু মন্থন করিয়া যে কিছু জ্ঞান-রত্ন উদ্ধার করা যায়, তাহাই আমাদের কল্যাণ কোষাগারের অপ্রতুল পরিহারের একমাত্র উপায়। তিনি আপনি ঐ পরম ধৰ্ম্ম রূপ অমুল্য নিধি উপার্জন করিয়া পরিতৃপ্ত হইলেন, এবং মানব জাতির ঘোরতর অজ্ঞান-তিমির দর্শনে দয়ার্ক্স হইয় তাহাদিগের পরিত্রাণ সাধনে প্রবৃত্ত হইলেন। কিন্তু আবহমান কাল যাহাদের অসত্যকে সত্য, অচেতনকে সচেতন ও ভ্রান্তকে অজন্তু বলিয়া বিশ্বাস আছে, তাহার যে সহসী