পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংবাদ । ১ ৯ পণ্ডিতেরাই শেষোক্ত অধিকার প্রচুর রূপে ভোগ করেন । ভারতবর্ষেতে ষড় দর্শনবেত্তারা ঐ অধিকার আত্মসাৎ করিয়াছেন । সৰ্বদর্শনই তোমারদের মতে সত্য, পরস্পর বিবাদ বিসম্বাদ যেন কিছুই নাই । যিনি যখন যে দশন হস্তগত করেন তাহাই তখন তাহার পক্ষে শ্রেষ্ঠ । এই তোমারদের সিদ্ধান্ত । ফলে তোমারদের বাস্তবিক মত কি তাহা তোমরাও জান না । বিদ্যার তাৎপৰ্য্য যাহাঙ্কউব তাহাতে তোমারদের বড় উদ্বেগ নাই আর বেদেতেও স্থির বিশ্বাস দেখা যায় না। য়ুতাক্ত সমিৎ জলন্ত অগ্নিতে স্বাহা বলিয়া নিক্ষেপ করিলেই স্বগলাভ হইবে ইহাতে তোমারদের যথার্থ বিশ্বাস নাই তথাপি পাষণ্ড অপবাদের ভয়ে মন্ত্র বাক্ষণের প্রতিপক্ষে কিছুই বলিতে পার না - প্রসিদ্ধ মহর্ষি রা যাহা সিদ্ধান্ত করিয়াছেন তাহার শুদ্ধাশুদ্ধি পরীক্ষণ করিবারও সাহস নাই এব০ কপিলাদি মহষিগণের সত্ৰ গ্রাহ করাতে তোমরা বস্তুতঃ বেদকে পরিহার করিয়াছ । তবে যখন কোন স্পষ্ট বক্তা প্রতারণা পরিহার করিয়া স্বীয় অভিপ্রায় ব্যক্ত করে তখনি কেবল তোমরা তাহাকে তিরস্কার করণার্থে ক্ষণৈক বেদ পরায়ণ হইয়া থাক” । এই ৰূপ তর্কবিতর্ক শুনিয়া আগমিকের মনে নানা প্রকার চিন্তার উদয় হইল । আগামিক কৰ্ম্মকাণ্ড পরায়ণ জ্ঞান কাণ্ডের বড় আদর করিতেন না । তর্ক বাদ জল্প সমুদায় বারাণসীস্থ সংস্কৃত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডাক্টর বেলেণ্টাইন লিখিয়াছেন একদ ভুসুর অধ্যাপকগণকে প্রশ্ন করিয়াছিলেন তোমরা কি ন্যায় বেদাস্ত সাংখ্য এ সকলেজে ই ৰিশ্বাস কর । অধ্যাপক মহাশয়ের উত্তর করিলেন যে মহর্ষি প্রণীত দশন সকলই গ্রাহ তাহারদের পরস্পর বিরোধ, কেৰল প্রতিভাসিক মাত্র !