পাতা:ষড়্‌দর্শন সংবাদ.pdf/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংবাদ । 8 o Q সূত্রকারের তাৎপর্য জ্ঞান করিলে মহাভ্রম হুইবে । বেদব্যাস জগদ্বন্ধে অভেদ কহিয়াছেন, কিন্তু প্রত্যক্ষ জগতের সত্তাও স্পষ্ট স্বীকার করিয়াছেন । . “ বৈয়াসিক বেদান্তের মূল উপদেশ এই যে, ব্ৰহ্ম স্বয়ং সৰ্বভূতের নিমিত্ত ও উপাদান কারণ, সুতরাং জগৎ ব্রহ্মের সজাতীয় পদার্থ। আধুনিক বেদান্তিগণ, বিজ্ঞান ভিক্ষু যাহারদের বেদান্তিক্ৰব নাম রাখিয়াছেন, ইহঁরদের মূল উপদেশ এই য়ে জগৎ ব্রহ্ম প্রসারিত মায়া মাত্র এবং ব্রহ্ম স্বৰূপ। মাণ্ডুক্য উপনিষদের কারিকাকার গৌড়পাদ ব্যাসের উপরই শ্লেষ করিয়া কহিয়াছেন, বিভূতি প্রসবস্তুন্যে মন্যন্তে সৃষ্টি চিন্তকাঃ ।

  • ভাষ্যকার শঙ্করাচার্যের তাৎপর্য স্পষ্ট নহে । শঙ্করাচায্যের কালে আদিম বেদান্তের অদ্বৈতবাদ বৌদ্ধগণের মায়াবাদ উপদেশ দ্বারা বিৰূপ হুইয়াছিল। শঙ্করাচাৰ্য্য বৈয়াসিক সূত্র প্রতিপাদন করত বৌদ্ধদিগের মায়াবাদ খণ্ডন করিতে ক্রটি করেন নাই, কিন্তু সাস্থ্য শান্ত্রিদের সহিত সমর কালে স্বকীয় মতের সামঞ্জস্য রক্ষা করিতে পারেন নাই । কাপিল সম্প্রদায়ের সহিত তর্ক যুদ্ধ করত কোন ২ স্থলে জগৎকে অবিদ্যা কৃত কহিয়াছেন, যদিও স্পষ্টৰূপে জগৎকে মায়া মরীচি মাত্র কছেন মাই, তথাপি প্রকারান্তরে ঐ মতের পোষকতা করিয়াছেন, কিন্তু জগৎকে অবিদ্যা কৃত বলাতে জগৎ সত্তা নিতান্ত অস্বীকার করা হয় না, অস্মথ পূর্ব ঋষিদের মনে আদ্যাবধি এই বিষম সংস্কার ছিল যে, রজোগুণের প্রাবল্য ব্যতীত কাৰ্য্যদক্ষত জন্মে না, আর