পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক ] ষোড়শী [ প্ৰথম দৃশ্য ষোড়শী । তোমাকে নিয়ে যাবার জন্যে যে আজ সমস্ত ছেড়ে চলে এসেচি। কিন্তু নিষ্ঠুর-অভিমানে এ কি করলে তুমি! প্ৰফুল্ল। দাদা, চেয়ে দেখুন। অলকা এসেছেন। জীবানন্দ। অলকা ? এলে তুমি ? ( ধীরে ধীরে মাথা নাড়িয়া ) কিন্তু সময় নেই। আর । যোড়শী । কিন্তু, এই যে সেদিন বললে, তুমি সংসারে বাঁচতে চাওমানুষের মাঝখানে মানুষের মত হয়ে । তুমি বাড়ী চাও, ঘর চাও, স্ত্রী 58, riġer byg জীবানন্দ । ( মাথা নাড়িয়া ) না। আজ ফাকি দিয়ে আর কিছুই চাইনে অলকা ! চিরদিন কেবল ফাকি দিয়ে পেয়ে পেয়েই স্পৰ্দ্ধা বেড়ে গিয়েছিল, ভেবেছিলাম, এমনিই বুঝি । কিন্তু আজ তার কৈফিয়ৎ দেবার দিন এসেছে। যে সৌভাগ্য এ জীবনে অর্জন করিনি, অলকা, সেই ত ঋণ,-সে বোঝা আর যেন আমার না বাড়ে । [। ষোড়শী জীবানন্দর বুকের উপরে মাথা রাখিতে সে ধীরে ধীরে তাহার অক্ষম হাতখানি ষোড়শীর মাথার পরে রাখিল } জীবানন্দ। এ অভিমান ছিল বই কি একটু। তবু, যাবার আগে এই ত তোমাকে পেলাম। এর অধিক পাওয়া সংসারের নিত্য কাজে হয়ত বা কখনো ক্ষুন্ন, কখনো বা স্নান হোতো, কিন্তু সে ভয় আর রইল না । এ মিলনের আর বিচ্ছেদ নেই, অলকা, এই ভাল। এই ভাল । [। ষোড়শী কথা কহিতে পারিল না, দুঃসহ রোদনের বেগে তাহার সমস্ত বক্ষ ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিতে লাগিল। ] H&R