পাতা:ষোড়শী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম অঙ্ক ] ষোড়শী। [ দ্বিতীয় দৃশ্য ষোড়শী। ( তাহার সমস্ত মুখ উজ্জল হইয়া উঠিল। ) আমার নাম ষোড়শী। ভৈরবীর দশমহাবিদ্যার নাম ছাড়া আর কোনো নাম থাকে না । কিন্তু অলকাকে আপনার মনে আছে ? জীবানন্দ । ( নিরুৎসুক কণ্ঠে), কিছু কিছু মনে আছে বৈকি। তোমার মায়ের হোটেলে মাঝে মাঝে খেতে যেতাম। তখন তুমি ছোট ছিলে । কিন্তু আমাকে ত তুমি অনায়াসে চিনতে পেরেচ ? ষোড়শী । অনায়াসে না হলেও পেরেছি। অলকার মাকে মনে পড়ে ? জীবানন্দ। পড়ে। তিনি বেঁচে আছেন ? ষোড়শী । না-SumitaBot (আলাপ)বছর দশেক আগে তার কাশীলাভ হয়েচে । আপনাকে তিনি বড় ভালবাসতেন, না ? জীবানন্দ । ( উদ্বেগে ) হাঁটু-একবার বিপদে পড়ে তঁর কাছে একশ টাকা ধার নিয়েছিলাম, সেটা বোধ হয়। আর শোধ দেওয়া হয়নি । ষোড়শী । না, কিন্তু আপনি সেজন্য মনে কোন ক্ষোভ রাখবেন না । কারণ অলকার মা সে টাকা ধার বলে আপনাকে দেননি, জামাইকে যৌতুক বলে দিয়েছিলেন। (ক্ষণকাল চুপ করিয়া ) চেষ্টা করলে এটুকু মনেও পড়তে পারে যে সেদিনটাও ঠিক এমনি দুদিন ছিল । আজ ষোড়শীর ঋণটাই খুব ভারি বোধ হচ্চে, কিন্তু সেদিন ছোট্ট অলকার কুলটা মায়ের ঋণটাও কম ভারি ছিল না চৌধুরী মশাই । • জীবানন্দ। তাই মনে করতে পারতাম যদি না তিনি ঐ কটা টাকার জন্যে তঁর মেয়েকে বিবাহ করতে আমাকে বাধ্য করতেন । ষোড়শী । বিবাহ করতে তিনি বাধ্য করেননি, বরঞ্চ করেছিলেন। আপনি নিজে। কিন্তু, থাকু ওসব বিশ্ৰী আলোচনায়। বিবাহ আপনি So